তিস্তা নদীতে রাজস্থানের তিন পর্যটক ও চালকের গাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের দেহ গজলডোবায় উদ্ধার হয়।
গত ১০ জুলাই শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের দিকে যাওয়ার পথে একটি পর্যটকদের গাড়ি সেবকের কোরোনেশন ব্রিজের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তায় তলিয়ে যায়।
তলিয়ে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে প্রথমে তল্লাশি চালায় সেবক থানার পুলিশ।
পরে, সন্ধানহীন ব্যক্তিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় এনডিআরএফ, নৌসেনার ডুবুরিরা।
ভরা বর্ষার খরস্রোতা তিস্তার জল সামাল দিতে কালীঝোরা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের লকগেট বন্ধ রাখা হয়। তল্লাশি পর্বে এই প্রথম শুক্রবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে অবধি এতক্ষণের জন্য লকগেট বন্ধ রাখা হল।
লকগেট বন্ধ থাকা অবস্থায় ওই সময়ে নৌসেনার দুই ডুবুরির তত্ত্বাবধানে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের প্রশিক্ষিত দুই ডুবরি তিস্তায় তল্লাশি চালান। কখনও র্যাফ্টিং করে কিছু দূর গিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে নদীতে নামলেন তারা। কখনও জলের নীচে লোহার পাইপ বা শেকল নামিয়ে খোঁজ চলল গাড়িটির।
কিন্তু ফের ভারী বর্ষণের ফলে এক সময়ে ‘অপারেশন’ শেষ করেন ডুবুরিরা।
আজ, শনিবার জল বন্ধ করা গেলে ফের তিস্তায় খোঁজ হবে।
এদিকে, নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা এদিন কিছুটা আশার আলো দেখলেও এখনও পুরোপুরি আশ্বস্ত নন। তাদের অভিযোগ, তিস্তায় বিভিন্ন জায়গায় দেহ ভেসে উঠলেও পুলিশ-প্রশাসন জানাতে দেরি করছে। তাই শনাক্ত করার জন্য নিজেদের উদ্যোগে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকছে না। উদ্ধারকাজের দলগুলির মধ্যেও সমন্বয়ের অভাব আছে বলে দাবি তাদের।