মেট্রো রেলে মর্মান্তিক মৃত্যু! প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছে পাতাল রেল কর্তৃপক্ষ । এই ঘটনা চাপা দেবার নানা রকম চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে ।
এবার বহু জল্পনা-কল্পনার পর মেট্রো পরিষেবা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে নয়া এসি রেকগুলো ।
শনিবার ১৩ জুলাই তারিখে এমনই একটি রেকে যাত্রী সজল কাঞ্জিলালের হাত আটকে প্রাণ হারিয়েছেন ।
সোমবার দিল্লি থেকে শহরে এসে দুর্ঘটনার সুচারু তদন্ত করেন ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’ (মেট্রো সার্কেল) জনককুমার গর্গ।
মেট্রো থেকে রেকগুলোকে কি পাকাপাকিভাবে তুলে নেওয়া হবে ?
উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে রেকগুলিকে পরীক্ষা করে সেগুলোর অবস্থা বোঝা যাবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ।
সিআরএস গর্গ মেট্রোর উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পার্ক স্ট্রিটের স্টেশন মাস্টারের অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন । কিভাবে সেদিন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটল, প্ল্যাটফর্মের পরিকাঠামো প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর খোঁজ নিয়েছেন তিনি ।
ইতিমধ্যে সিআরএস প্রস্তাব অনুযায়ী, প্ল্যাটফর্মের যে প্রান্ত দিয়ে ট্রেন বেরোয়, সে প্রান্তে বসানো হবে ‘কনভেক্স মিরর’ । কারণ এই আয়নার সহায়তায় চালক প্ল্যাটফর্মের পিছনের অংশটি দেখতে পাবেন ।
সিআরএস নির্দেশ দিয়েছেন, যাত্রীরা যেন মেট্রোতে উঠার সময় তাড়াহুড়ো না করেন ।
কলকাতার এক সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, পুনরায় নাসের হুসেন মেট্রো ছাড়ার সময় হাত দিয়ে দরজা আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁকে আরপিএফ কর্মী বিদ্যুৎ দাস আটক করেন । এবং তাঁকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।