হাসপাতালের ভুয়ো প্যাড ব্যবহার করে হাইলাকান্দিতে আটক এক ওষুধের দোকান মালিক। ধৃত এই ওষুধের দোকান মালিকের নাম বিশ্বজিৎ দেবনাথ। হাইলাকান্দি এসকে রায় অসামরিক হাসপাতালের পাশে তোপখানা রোডে রয়েছে তার ফার্মাসি।
বুধবার বিকেলে এক ব্যক্তি তার শিশুকে এসকে রায় অসামরিক হাসপাতালে নিয়ে যান শিশু চিকিৎসক দেখানোর জন্য।
হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডাঃ আবুল হোসেন বড়ভূঁইয়াকে না পেয়ে তিনি আরেক শিশু চিকিৎসক ডাঃ সমরজিৎ চক্রবর্তীর কাছে যান। সমরজিৎ চক্রবর্তী তাকে হাসপাতালের নিয়ম মেনে পাঁচ টাকা দিয়ে একটি টোকেন করতে পরামর্শ দেন।
ওই সময় এক যুবক শিশুটির অভিভাবককে এসে বলে টোকেন সংগ্রহ করতে লম্বা লাইন ধরতে হবে। টোকেন তার কাছে আছে তিনি তার কাছ থেকে টোকেন সংগ্রহ করতে পারেন।
এই পরামর্শ দিলে সহজ-সরল ওই ব্যক্তিটি ওই যুবকের কাছ থেকে হাসপাতালের টোকেন সংগ্রহ করে যথারীতি ডাঃ সমরজিৎ চক্রবর্তীর কাছে গিয়ে শিশুটিকে দেখালে ডাঃ চক্রবর্তী এক্স-রে করার পরামর্শ দেন।
তখন ওই ব্যক্তি টোকেনটি নিয়ে “এক্স-রে কক্ষে” গেলে আসল রহস্য ধরা পড়ে। এক্স-রে কক্ষের কর্মীরা ওই টোকেন দেখেই বুঝতে পারেন যে এটি হাসপাতালের বৈধ টোকেন নয়। কারণ, হাসপাতালের বৈধ টোকেন এযাবৎ ক্রমিক নম্বর গিয়েছে ৮৪০০০। আর ওই যুবক যে প্যাডটি ওই ব্যক্তিকে দিয়েছিলেন এতে দেখা যায় ক্রমিক নম্বর- ৮৭ লক্ষ।
বিষয়টি তৎক্ষণাৎ হাসপাতালের কর্মীদের নজরে এলে তারা ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন হাসপাতালের অধীক্ষকের কাছে। বিষয়টি খুলে বলেন তারা। ওই ব্যক্তিও অধীক্ষকের কাছে বিস্তারিত বলেন।
কাকতালীয়ভাবে এদিন হাসপাতালের অধীক্ষকের কক্ষে হাইলাকান্দির দুই নবাগত শিক্ষানবিশ ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। দুই শিক্ষানবিশ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিষয়টি জানান ওই ব্যক্তি।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ডেকে ওই ব্যক্তিটিকে নিয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেট সহ হাসপাতালের কর্মীর তোপখানা রোডের ওই ফার্মাসিতে অভিযান চালান। অভিযানে সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করা হয় ওষুধের দোকান মালিক বিশ্বজিৎ দেবনাথকে।
বিশ্বজিৎ দেবনাথ এসকে রায় অসামরিক হাসপাতালের “প্যাড” এভাবে ব্যবহার করার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দোকানে তল্লাসি চালিয়ে পুলিশ ১৪ টি প্যাড উদ্ধার করে। যেগুলোতে এসকে রায় অসামরিক হাসপাতালের নাম লেখা ছিল।
তাকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালের অধীক্ষক সুদীপ চক্রবর্তী বিশ্বজিৎ দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।