রেলের পরিষেবা থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন দক্ষিণ ত্রিপুরার জনগণ। অবশেষে দক্ষিণ ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাব্রুমে প্রথম বার পৌঁছল রেলের ইঞ্জিন।
সোমবার দুপুরে ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাব্রুম স্টেশনে পৌঁছায় ইঞ্জিনটি।
পরীক্ষামূলকভাবে চালানো ইঞ্জিনটি পৌঁছলে সেটি দেখতে ভিড় জমায় উত্সাহী সাব্রুমবাসী। খুব শীঘ্রই শুরু হবে বিলোনিয়া-সাব্রুম যাত্রীবাহী রেল চলাচল।
২০০৭-০৮ সালের বাজেটে প্রথম আগরতলা-সাব্রুম রেললাইন প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়।
২০১০ সালে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যা ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার রাকেশ কুমার এক সংবাদ মাধ্যমে জানান, ত্রিপুরার বিলোনিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে সাব্রুম স্টেশন পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ৩৯.১ কিলোমিটার। পরীক্ষামূলকভাবে বিলোনিয়া-সাব্রুম লাইনে দুটি ইঞ্জিন চালানো হয়। প্রতিটি ইঞ্জিনের সঙ্গে ছিল দু’টি বগি। একটি ইঞ্জিন পৌঁছয় মনুবাজার স্টেশন। অপর ইঞ্জিনটি পৌঁছয় সাব্রুম।
আরও কয়েক বার পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। পরবর্তী পর্যায়ে পাথর বোঝাই করে ট্রেন চালানো হবে নতুন লাইনে। তার পরেই সবুজ সংকেত পাবে যাত্রীবাহি রেল পরিষেবা।
পরীক্ষামূলক এ ট্রেন চলাচলের পর রেলওয়ের সেফটি কমিশনের (সিআরএস) অনুমোদন পেলে খুব শীঘ্রই শুরু হবে বিলোনিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে সাব্রুম স্টেশন পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।
আগরতলা থেকে সাব্রুম স্টেশন পর্যন্ত রেল লাইনের দৈর্ঘ্য ১১৪.২ কিলোমিটার।
বিলোনিয়া পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার রাস্তা আগেই নির্মাণ হয়েছিল। সাব্রুম স্টেশন থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৭৬ কিলোমিটার।
আর চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করেই ত্রিপুরাকে উত্তরপূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার করার পরিকল্পনা করছে বর্তমান ভারত সরকার।
এ রেলস্টেশনটি চালু হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়বে।
দীর্ঘ দিনের চাহিদা মেটায় খুশি সাব্রুমবাসী। রেলপথ চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হবে, আশা সাধারণ মানুষের। সাব্রুম থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটুক দূরপাল্লার ট্রেন, দাবি তাদের।