ফের শিরোনামে দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির অভিজাত বেসরকারি স্কুল জিডি বিড়লা।
শুক্রবার কৃত্তিকা পাল নামের দশম শ্রেণির ছাত্রীর বাঁ হাত কাটা আবস্থায় স্কুলের শৌচালয়ে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দেহ।
আত্মহত্যা না কি খুন! আজ শনিবার মিলবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। আর তাতেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগের অনুমান কার্যত স্কুলের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রীর। এদিন বিষয়টি নিয়ে আরও খানিকটা তৎপর হলেই হয়ত বাঁচানো যেত কৃত্তিকাকে, এমনটাই বলছেন তাঁরা।
শুক্রবারই স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা।
আজ শনিবার ছুটির দিনেও সমস্ত শিক্ষিকাদের স্কুলে ডেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ঠিক কী হয়েছিল এদিন?
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও সহপাঠীদের সঙ্গে হেসেই কথা বলছিল সে, স্বাভাবিক ছিল তাঁর আচরণ। এরপর ৫ পিরিয়ড শেষ হতেই সে তাঁর সহপাঠীদের বলে তাঁর মাথা যন্ত্রণা করছে তাই সে সিক রুমে যাচ্ছে। এরপর সিক রুমে যাওয়ার বদলে সে সোজা চলে যায় বাথরুমে।
ষষ্ঠ পিরিয়ডে শিক্ষিকা তাঁর খোঁজ করলে সহপাঠীদের থেকে জানতে পারেন সে সিক রুমে। শেষ হয়ে যায় ৬ পিরিয়ডেও।
৭ পিরিয়ডে ফের তাঁর খোঁজ পড়ে। এরপর শুরু হয় খোঁজ। গোটা স্কুল খুঁজে ফেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি, শেষে তাঁকে খুঁজতে যাওয়া হয় স্কুলের শৌচালয়ে। বন্ধ দরজার ওপর থেকে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কৃত্তিকা। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কৃত্তিকার দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে ছোট ছোট ব্লেড। পাওয়া গিয়েছে পলিথিনও।
শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও।
ওই নোটে লেখা রয়েছে, বছর দুয়েক পর ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউটের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে চাপে ছিল ওই ছাত্রী। সুইসাইড নোটে আরও লেখা, ৩ মাস ঘুম ঠিকমতো হয়নি।
শুধুই পড়াশোনার চাপ? পারিবারিক কারণ নাকি অন্যকিছু সেই নিয়ে ধন্দে পুলিশ।