রাজনীতির ময়দান নয় যেন চাঁদের-হাট। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির রণাঙ্গনে নেমে পড়েছেন রূপোলি পর্দার একঝাক নায়ক-নায়িকা। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন ঘিরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একদিকে যেমন টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তেমনি রূপোলী পর্দার নায়ক-নায়িকাদের উপস্থিতি ভোট-যুদ্ধের প্রতি জনতার আকর্ষণ অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এমনিতে ভোট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের উৎসাহের শেষ নেই। কিন্তু ভোট-যুদ্ধে রূপোলী পর্দার নায়ক-নায়িকাদের যোগদান রাজ্যের সব শ্রেণীর জনগণের মধ্যে ভোট-উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দীপক অধিকারী(দেব), মুনমুন সেন, শতাব্দী রায়দের নামিয়ে, নির্বাচনি রাজনীতিতে ঝড় তুলেছিলো তৃনমূল কংগ্রেস এবার তাতে সংযোজন হয়েছে মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানদের মতো নায়িকাদের নাম। অপর দিকে বসে নেই বিজেপিও, তারা ভোটের ময়দানে নামিয়েছে, মহাভারত-খ্যাত রূপা গাংগুলি, বিশিষ্ট নায়িকা লকেট চট্টোপাধ্যায়, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের মতো নামী-দামী নায়িকাদের। উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপির হয়ে নির্বাচনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন ভিক্টর ব্যানার্জির মতো জাঁদরেল অভিনেতা।
উল্লেখ্য, শুধু নির্বাচনের আঙ্গিনায় রূপের ছটা ছড়িয়ে ভোট যুদ্ধে বাজিমাৎ করতেই নায়ক-নায়িকাদের ভোট-যুদ্ধে নামানো হয় এমন নয়। বিপক্ষ দলের হেভিওয়েট নেতাদের হারাতেও তাদের ব্যবহার করা হয়। যেমন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় সিপিআই(এম) নেতা বাসুদেব আচার্যের বিরূদ্ধে মুনমুন সেনকে নামিয়ে সফল হয়েছিলো তৃনমূল কংগ্রেস। এবার বাকুড়া থেকে তাঁকে আসানসোলে নিয়ে আসা হচ্ছে, এবার লক্ষ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।