আত্মহত্যা, হত্যা, আত্মহত্যার জন্যে প্ররোচিত করা এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলো হর-হামেশাই ঘটে চলেছে বাংলাদেশে । এবার যে ভয়ংকর তথ্য পাওয়া গেছে, তা হল মাত্র ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে মৌলভীবাজারে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে । কিশোরী, যুবক থেকে বৃদ্ধ কেউ বাদ পড়েনি । এগুলো কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয় ।
এর মধ্যে রয়েছে কিছু হত্যা এবং আত্মহত্যার মতো জঘন্য অপরাধ !
রবিবার মৌলভীবাজার শহরের সোনাপুরে আলমগীর হোসেন (২৭) নামের এক ওয়ার্কসপ শ্রমিকের রহস্যজনকভেবে মুত্যু হয় ।
এছাড়া, বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশ পাওয়া এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ১২ টার ঘটনা । মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নে করিম মিয়া নামক এক ব্যক্তির কাছে নিজের পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে শহিদ উল্যা (৬৫) নামক জনৈক বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে ।
ঘটনায় কমলগঞ্জ মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে সর্বশেষ পুলিশের দেয়া তথ্য ।
এদিকে বড়লেখা উপজেলায় ঘটে আরেক দুর্ঘটনা । দাদুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে জলে ডুবে লামিয়া আক্তার (১৪) ও শাম্মি আক্তার (১২) নামের দুই বোন মারা গেছে ।
একই উপজেলায় ঘটে যায় আরো এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড । অত্যাচারী স্বামীর ছুরিকাঘাতে মারা গেলেন স্ত্রী পান্না বেগম (৩০) । স্ত্রীঘাতক স্বামী পলাতক । তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানায়।
রবিবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ রাজনগর উপজেলার তারাচং গ্রামে হালিমা বেগমের রহস্যজনক মৃত্যু হয় ।
তাঁর স্বামীর পরিবার এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছেন কিন্তু নিহতের মায়ের পরিবারের দাবী, তাঁদের মেয়েকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করে আসছিল জামাই বাড়ির লোকজন মিলে । এবং তাঁরাই আত্মহত্যার জন্যে মেয়েকে প্ররোচিত করে বলে তাঁদের অভিযোগ ।
হালিমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
এভাবেই জঘন্য অপরাধ হয়ে চলেছে দেশে ! কখনো প্রকাশ্যে, কখনো আড়ালে ! শারীরিক নির্যাতন তো দৃষ্টিগোচর হচ্ছে, কিন্তু ঘরে ঘরে পুত্রবধূ, স্ত্রীর ওপর হওয়া মানসিক নির্যাতন ! সে তো দেখা যাচ্ছে না । এই নির্যাতন সতীদাহের থেকেও আরো ভয়ানক ।
সমাজে এমন অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশে বড় করা অসম্ভব হয়ে পড়বে !