প্রবল উষ্ণতার দাবানলে অসহনীয় হয়ে উঠছে গোটা বিশ্ব। তীব্রগতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সবুজায়নের স্বপ্ন হা-পিত্যেষ করছে। এহেন এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে সামনে রেখে গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান বলে চিৎকার করে বৃক্ষ রোপণ ও বৃক্ষ সংরক্ষণের উপর জোর দেয় ক্ষমতাসীন সরকার ।
কিন্তু বিশ্ব পরিবেশ দিবস ঘটা করে উদযাপন করাই সার, এর সংরক্ষণের প্রশ্নে বারবারই হোঁচট খেতে দেখা গেছে।
তবে এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসটি খানিকটা ব্যতিক্রমী পরিলক্ষিত হয়। এর কারণটাও অবশ্য ব্যতিক্রমী । এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান কাছাড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে । যোগ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। জেলায় ১০ লক্ষ বৃক্ষ রোপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে বাড়তি উৎসাহ রয়েছে অবশ্যই ।
গ্লোভাল ওয়ার্মিং-এর মতো কঠিন সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বৃক্ষ রোপন ও বৃক্ষ সংরক্ষণ একান্ত জরুরী । তীব্র দাবদাহে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে । ফলে বিপর্যয় নিশ্চিত । সবুজ পরিবেশ অসুরক্ষিত হয়ে উঠছে ক্রমান্বয়ে । ফলে বাঁচতে হলে বেশি করে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করার আর্জি জানিয়ে সরকারের সবকটি বিভাগ বৃক্ষ রোপনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
এরই অঙ্গ হিসেবে ৫ জুন বুধবার কাটিগড়ার বিভিন্ন সরকারী কার্যালয়ে বৃক্ষ রোপন কার্যসূচী পালন করা হয়।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে প্রচুর গাছের চারা বিতরণের পাশাপাশি কাটিগড়া সার্কেল কার্যালয়, কাটিগড়া থানা, কাটিগড়া মডেল হাসপাতাল সহ বেশ কিছু সরকারী কার্যালয় সহ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেও
বৃক্ষ রোপন করা হয় ।
বৃক্ষ রোপন কার্যসূচীতে অংশ নেন কাটিগড়া সার্কেল অফিসার জিতেন টাইড, কাটিগড়ার থানার ওসি নিমাই চাঁন্দ সিনহা, সার্কেল অফিসের কর্মকর্তা বিমলকান্তি ধর, জহর দাস, সমাজসেবী নির্ঝর দাস, মৃদুল নাগ সহ সাংবাদিক সংস্থার কর্মকর্তা, কর বিভাগের কাছাড় জেলার কর বিভাগের আধিকারিক সৌরভ দাস, সিদ্ধেশ্বর প্রগতি সংঘের কর্মকর্তা প্রমুখ ।
এরআগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে কাটিগড়া ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের কার্যালয়, কালাইন ফরেষ্ট রেঞ্জের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি জিপি এলাকায় বৃক্ষ রোপন কার্যসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন ।
|
|