ঢাকা: সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (সিওএএস) দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন ।
সোমবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
ওই বিবৃতি প্রকাশ করেছে দেশটির প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)। এটি ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা।
সোমবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল মনোজ পাণ্ডে ৫ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে দুই দিন সফর করবেন।
সফরকালে সেনাপ্রধান বাংলাদেশের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে ভারতীয় সেনাপ্রধান বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।
এ ছাড়াও সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ৮৪তম লং কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড (পিওপি) পরিদর্শন করবেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে।
এর আগে এপ্রিলের শেষের দিকে জেনারেল মনোজ পাণ্ডের আমন্ত্রণে ভারত সফরকালে চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে পাসিং আউট প্যারেড পরিদর্শন করেছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ (সিএএস)।
সেই ধারাবাহিকতায় শফিউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে বিএমএতে পাসিং আউট প্যারেড পরিদর্শন করবেন মনোজ কুমার পাণ্ডে।বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, জেনারেল পাণ্ডে বিএমএ থেকে পাসিং আউট কোর্সের সেরা বিদেশি ক্যাডেটদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ ট্রফি’ উপস্থাপন করবেন।
এ বছর প্রথম ট্রফি তানজানিয়ার অফিসার ক্যাডেট এভারটনকে দেওয়া হচ্ছে।সফরকালে মনোজ পাণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছিলেন।
এ সফরকালে ভারতীয় সেনাপ্রধানের অন্য কর্মসূচির মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের সাথে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের ব্রিফিংও রয়েছে।
ভারতীয় হাই কমিশন তাদের বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেছে, এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ের মতবিনিময় ভারত ও বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে।