ঢাকা: উন্নত জীবনযাপনের অংশ হিসেবে ২০তম ধাপে বাংলাদেশে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে স্থানান্তর করা হলো আরও ১৫৫ জন Rohingya নাগরিককে।
ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ নিয়ে সেখানের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ হাজার ৪৩৫ জন। যদিও রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রতিবাদ জানিয়েছে, কিছু পশ্চিমাদেশ ও এনজিও।
প্রতিবাদের বিরোধীতা করে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেখানে উন্নতমানের হোটেল না থাকায় তারা এর বিরোধীতা করছেন।
রবিবার বিকেলে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজযোগে রোহিঙ্গারা ভাসানচর পৌঁছান। এর আগে, এদিন দুপুরের দিকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামের বোটক্লাব থেকে ছেড়ে যায় জাহাজগুলো।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার থেকে বানৌজা টুনা, (বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ) বানৌজা তিমি ও বানৌজা পেঙ্গুইনের মাধ্যমে ৯১৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়।
এর মধ্যে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়েছেন ৪৫ পরিবারের ১৫৫ জন, বেড়াতে গিয়েছেন ৬৩৩ জন ও আগে বেড়াতে গিয়ে ফেরত এসেছেন ১২৬ জন রোহিঙ্গা। ভাসানচর ক্যাম্প ইনচার্জ মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার বিকেলের নতুন রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীকালে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়। স্বেচ্ছায় রবিবার ৪৫টি পরিবারের ১৫৫ জন অর্থাৎ ৪২ জন পুরুষ, ৫৮ জন নারী ও ৫৫ শিশু ভাসানচরে গিয়েছেন।
ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক মো. হুমায়ুন কবির জানান, চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচর আসা পর্যন্ত পুলিশ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ছিল এবং ভাসানচর নামানোর পর বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা সঙ্গে ছিলেন।