ইয়াবা নেশাট্যাবলেট পালকের মৃত্যু । শেষ হল যেন এক নিষ্ঠুর যুগ ।
টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন ইয়াবা ডন সাইফুল করিম।
আজ শুক্রবার ভোররাতে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, করিমের বিরুদ্ধে টেকনাফ ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে । তাছাড়া ইয়াবা সাম্রাজ্যের মালিক সাইফুলের নেতৃত্বেই বাংলাদেশে প্রথম ইয়াবার চালান আনা হয়।
পুলিশের দেয়া আরো তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে ১ লাখ ইয়াবা বড়ি, ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি), শর্টগানের ৪২টি তাজা কার্তুজ ও ৩৩টি কার্তুজের খোসা ।
বন্দুকযুদ্ধে আহত হয়েছেন পুলিশের একজন এসআই ও দুজন কনস্টেবল ।
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৯ মাস আত্মগোপনের পর কদিন দিন আগে সাইফুল করিম বিদেশ থেকে টেকনাফ আসেন।
পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে সাইফুল জানান, কয়েক দিন আগে মায়ানমার থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইয়াবার বড় একটি চালান এনেছেন। সেই চালান টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানাপ্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর পাড়ে মজুত করেছেন।
সাইফুলেরই দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ইয়াবা উদ্ধারের জন্য তাঁকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে অস্ত্র হাতে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে ।
গোলাগুলিতে আহত হয়েছেন , টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক রাসেল আহমেদ, কনস্টেবল ইমাম হোসেন ও মো. সোলাইমান ।
গোলাগুলিতে সাইফুল করিম গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের এমন তৎপরতা বজায় থাকলে দেশ মাদক মুক্ত হবে, আশা করা যায় ।
সুত্রে জানা গেছে, ইয়াবার রাজা সাইফুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।