ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর সেই লাশের পাশে বসে কাঁদছিল। এরপর পুলিশ এসে ঘাতক স্বামীকে পাকড়াও করে। এ কাণ্ডটি ঘটেছে বাংলাদেশের উত্তর জনপদ জেলা রংপুরের পীরগাছায়।
পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রবাসফেরত জোবায়দা বেগমকে (৪০) জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) পিটিয়ে হত্যা করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন পীরগাছা থানার ওসি মাসুমুর রহমান। এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৫ বছর আগে চন্ডিপুর গ্রামের কাঁচামাল বিক্রেতা জাহাঙ্গির আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় জোবায়দা বেগমের। তাদের চার মেয়ে সন্তান রয়েছে।
সংসারের অভাব দূর করতে পাঁচ বছর আগে জর্ডানে পাড়ি জমান জোবায়দা বেগম। তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য দেশে আসেন তিনি। বিয়ে শেষে আবারও মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জোবায়দা।
কিন্তু স্বামী জাহাঙ্গির আলম তাকে নতুন করে বিদেশে যেতে দিতে ইচ্ছুক ছিলেন না। এরই মধ্যে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন জোবায়দা বেগম।
এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। বুধবার রাত ৮টার দিকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীকে বেদম পিটুনি দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে লাশের পাশে কান্নারত অবস্থায় জাহাঙ্গির আলমকে আটক করে পুলিশ। পীরগাছা থানার ওসি মাসুমুর রহমান জানান, স্ত্রী হত্যার অভিযোগে জাহাঙ্গির আলমকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।