ত্রিপুরা রাজ্যে নেশাবিরোধী কার্যক্রমে চোরাচালান বহু পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে।তবে হ্রাস পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু নির্মূল হয়নি এখনো ।
রাজ্য সরকারের নেশা সামগ্রী পাচারে কঠোর অবস্থান অবলম্বন করাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বাংলাদেশের মৌলভিবাজার জেলার জেলা শাসক তথা উপ কমিশনার ম৹ তোফায়েল ইসলাম ।
সোমবার, আগরতলায় ভারত-বাংলাদেশের জেলা শাসক এবং জেলা কালেক্টর পর্যায়ের ক্লাস্টার ফোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ।
বৈঠকে সীমান্ত তথা পাচারকার্য নিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় দু-দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ।
বিভিন্ন নেশা সামগ্রী পাচার, নারী-শিশু পাচার, সিমান্তে কাঁটা তারের বেড়া , বর্ডার হাট প্রভৃতি চলমান সমস্যাগুলোর সমাধানে এক দেশ অপর দেশকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
নেশা সামগ্রী পাচার সম্পর্কে ভারত-বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা যথেষ্ট উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন।
বিজিবি-র কর্ণেল মহিউদ্দিন তাঁর বক্তব্যে, নেশা সামগ্রী পাচার এবং প্রয়োগের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া সত্ত্বেও কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না এদেরকে । কারণ নেশা পাচারকারীদের মূলত জালে আটকানো যাচ্ছে না ।
তাদের আটক করতে অসমর্থ হলে ব্যাধির মতো নেশা ছড়াতেই থাকবে দেশে !
সম্প্রতি, ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার কলমছড়া থানার আশাবাড়ি বিওপির জওয়ানরা ৯৭৫ টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪৭ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে।
কিন্তু নেশাদ্রব্য উদ্ধার হলেও পাচারকারীদের আটক করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ ।
যাই হোক, ম৹ তোফায়েল এবং কর্ণেল মহিউদ্দিন নেশা বিরোধী অভিযানে ত্রিপুরার যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন ।