নয়াদিল্লিঃ গতকালই আদানি ইস্যুকে (Adani Issue) সংসদে সরব হয়েছেন কংগ্ৰেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Congress MP Rahul Gandhi)। একের পর এক প্রশ্নবাণে মোদীকে (Narendra Modi) জর্জরিত করেন রাহুল(Rahul Gandhi)। জানা যাচ্ছে, রাহুলের সেই ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ ভালভাবে নেননি মোদী।আশা করা হয়েছিল, বুধবার সংসদে জবাবি ভাষণে আদানি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেবেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী(PM Narendra Modi)। এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে টানা ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের জবাবও দিলেন। কিন্তু মুখে আনলেন না আদানির নাম।
মঙ্গলবারই সংসদে মুখ খুলে শিল্পপতি গৌতম আদানির (Gautam Adani) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল। বৃহস্পতিবার জবাবি ভাষণে রাহুলের নাম না করেই তাঁকে ‘হতাশাগ্রস্ত নেতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন মোদী।
এদিন দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ইউপিএ আমলের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেন মোদী। মোদীর অভিযোগ, ইউপিএ (UPA) আমলের ১০ বছরের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময়। ২০০৪-১৪ এই ১০ বছর দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে এই ১০ বছর। ওই ১০ বছর সব সুযোগকে সমস্যায় পরিণত করা হয়েছিল। এর বাইরে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। তোপ দেগেছেন ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়েও।
অথচ ভাষণে একবারের জন্যও আদানির নাম মুখে আনলেন না মোদী। মোদী বক্তৃতা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী বেঞ্চ থেকে ‘আদানি আদানি’ রব শোনা গিয়েছিল। যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) তদন্তের দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু সেসবে পাত্তা না দিয়ে নিজের পূর্বনির্ধারিত ভাষণই এদিন শুনিয়ে যান মোদী। বলেন, ওরা মনে করেন মোদীকে গালি দিলেই ওরা রাস্তা পেয়ে যাবে। উন্নতি হবে। কিন্তু মোদীকে মানুষ ভরসা করে। ২২ বছর দেশসেবা করে এই বিশ্বাস অর্জন করেছেন।
মোদী নিজের ভাষণে আদানি ইস্যু (Adani Issue) নিয়ে কিছু না বলায় খোঁচা দিয়েছেন কংগ্ৰেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে(Congress President Mallikarjun Kharge)। তিনি মোদীকে ‘মৌনীবাবা’ (Mounibaba) বলে কটাক্ষ করেছেন।
প্ৰধানমন্ত্ৰীর জবাবে সন্তুষ্ট নন বলে মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর সংসদের বাইরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে রাহুল (Rahul Gandhi) বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। উনি কোনও তদন্তের কথা বলেননি।” মোদীর সঙ্গে আদানির সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “তাঁরা যদি বন্ধু না হয়ে থাকেন, তবে প্রধানমন্ত্রীর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল।”