গুয়াহাটিঃ গুয়াহাটি মহানগরে (Guwahati) বর্তমানে ভয়ঙ্কর পরিবেশ দূষণ(Air quality)। এখন থেকে ঘর থেকে বেরোলেই আবার আগের মতো মখে মাস্ক পড়ে বেরোতে হবে। তার কারণ উদ্বেগজনকভাবে মহানগরে বাড়ছে বাতাসে প্ৰদূষণের মাত্ৰা(Air quality getting poor in Guwahati)। তার ওপর গত বেশ কয়েক মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই ফলে পরিবেশ আরও শোচনীয় হয়েছে।
গুয়াহাটি মহানগরে বায়ুদূষণের মাত্ৰা বেড়েছে।
কিছুদিন আগে দেশের রাজধানী শহর দিল্লিতে(Delhi) বায়ু দূষণ নিয়ে ব্যপক চর্চা হয়েছে দেশের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম গুলোতে বায়ু দূষণ (Poor air quality) নিয়ে আলোচনা হয়। কিভাবে এই সমাধান সূত্ৰ বের করা যায় তা নিয়ে চারদিকে বিস্তর আলাপ আলোচনা হতে দেখা গেছে।
মহানগরের (Guwahai) বায়ু দূষণ বর্তমানে চিন্তা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বুধবার মহানগরে বাতাসে প্ৰদূষণের মাত্ৰা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। তার কারণ এদিন সকাল থেকে হাওয়ার দাপট ছিল। প্ৰতিনিয়ত বাতাসের ধাক্কায় ব্ৰহ্মপুত্ৰের তীরে বালুকারাশি উড়ে গোটা মহানগরকে ধুলোর সাদা চাদড়ে মুড়ে দিয়েছে।
মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বেরোনো এখন বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। মহানগরের বাতাসের দূষণের পরিমাণ বিপদসীমাকে ছাপিয়ে গেছে। বুধবার সকালে মহানগরের বায়ুর দূষণের পরিমাণ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে।
গুয়াহাটি পুর নিগমের (GMC) এনফোর্সমেন্ট শাখা (Enforcement branch) গত সোমবার একটি অভিযান চালিয়েছে। মহানগরের (Guwahati) বাতাসের বায়ু দূষণের স্তর কতটা নীচে নেমেছে তা জানতে বিভিন্ন নির্মাণ এলাকা ঘুরে দেখেছে GMC-র দলটি। রিপোর্ট অনুসারে জানা গেছে, নির্মাণ সাইট থেকে ধূলিকণা এবং ধ্বংসাবশেষের উদ্ভব বায়ু দূষণের কারণ। এর ফলে গুয়াহাটি মহানগরের আকাশে বাতাসে বায়ু বিশুদ্ধতার মান আগের তুলনায় কমেছে।
নির্মিমাণ সাইটের থেকে নির্গত ধুলো এবং ধ্বংসাবশেষকে আটকে রাখার জন্য সুরক্ষা নেট বা কভার ব্যবহার করা হয়নি। বায়ুর গুণগতমানকে দিল্লির(Delhi air pollution) বায়ু দূষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। জানুয়ারিতে গুয়াহাটিতে বায়ু দূষণের মাত্ৰা 245 AQI-এ নেমে এসেছে। মহানগরের দৃশ্যমানতা আগের তুলনায় অনেক কমেছে। এর ফলে গুয়াহাটিবাসীর মধ্যে শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
পরিস্থিতি AQI গুরুতর স্তরে নেমে যাওয়া রোধ করতে দূষণ রোধে কিছু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।