নয়াদিল্লিঃ গর্ভবতী (Pregnancy) অবস্থায় যদি দেখা যায় গর্ভস্থ ভ্ৰুণের নানা রকম ত্ৰুটি রয়েছে, তা হলে সেই সন্তান রাখবেন কি রাখবেন না, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্ৰ মায়েরই থাকবে। কোনও চিকিৎসকের দল অথবা বোর্ডের (Medical Board) নয়, এই রায় বম্বে হাই কোর্টের (Bombay High Court)। সেই মর্মেই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ৩৩ সপ্তাহের মাথায় গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিয়েছে আদালত।
গত ২২ ডিসেম্বর এক মহিলা ২৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্তা (Pregnant Woman) ছিলেন। মেডিক্যাল পরীক্ষায় দেখা যায় তাঁর গর্ভের সন্তানে একাধিক ত্ৰুটি রয়েছে। জিনগত রোগের আভাস পাওয়ায় সেই মহিলা গর্ভপাত করাতে চান। কিন্তু যেহেতু অন্তঃসত্তা হওয়ার ২৪ সপ্তাহের পর তিনি আবেদন করেছেন, মেডিক্যাল বোর্ড (Medical Board) তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। তারা জানায় যে, শিশুটির চিকিৎসা বিনামূল্যে যে কোনও সরকারি হাসপাতালে (Government Hospital) হয়ে যাবে। তখন ওই মহিলা গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত বেছে নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ২০ জানুয়ারি এই রায় দেয় বোম্বে হাই কোর্ট(Bombay High Court)। সোমবার সেই রায় জনসমক্ষে আসে।
২৯ সপ্তাহের মাথায় মেডিক্যাল পরীক্ষা (Sonography) জানা গিয়েছিল, ভ্ৰুণে নানা ধরনের ত্ৰুটি রয়েছে। জিনগত সমস্যার কারণে সন্তানের মাথার আকার স্বাভাবিকভাবে গতি বাড়ছিল না, অত্যন্ত ছোট হতে চলেছে। মস্তিষ্কের আকারও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা ছোট।
জাস্টিস বেঞ্চের গৌতম পটিল এবং এস জি দিজ (A division bench of Justices Gautam Patil and S G Dige) জানিয়েছেন, এই ধরনের কেসে মায়ের অধিকারে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাঁরা বলেন, ‘‘এক জন মায়ের অস্তিত্ব, অধিকার, মতামত এবং সব জেনে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনত অধিকারকে কোর্ট নাকচ করে দিতে পারে না।’’
আদালতের মতে এই ধরনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া মানে আবেদনকারীর কাছ থেকে তাঁর মা এবং নারীত্বের সত্তাটুকু ছিনিয়ে নেওয়া বোঝায়।