কলকাতাঃ ২০২১ সালে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে স্ত্ৰীর মৃত্যু হয়। স্ত্ৰীকে কাছ ছাড়া করতে চাননি Kolkataর দমদম(Dumdum) কৈখালির (Kaikhali) বাসিন্দা তাপস সান্ডিল্য(Tapas Sandilya)। কাছের প্ৰিয় মানুষটাকেতো আর জীবিত অবস্থায় ফিরে পাওয়া যাবে না, তাই অভিনব উপায় বের করলেন অবস্রপ্ৰাপ্ত সরকারি কর্মচারি। স্ত্ৰীর সিলিকনের মূর্তী (Silicon Statue) তৈরি করে বাড়িতে বসালেন তিনি। বিশেষ অর্ডার দিয়ে গড়িয়ে আনলেন স্ত্ৰীর সিলিকনের মূর্তি। কৃত্তিম হলেও এখন সবসময় তাঁর কাছেই থাকেন প্ৰিয় কাছের মানুষটি।
কোভিড আক্ৰান্ত হয়ে স্ত্ৰী চলে যাওয়ার পর তাঁকে একাকিত্ব গ্ৰাস করতে থাকে। তখন তাঁর স্ত্ৰীর শেষ ইচ্ছের কথা মনে পড়ে যায়। একসময় স্ত্ৰীকে (Wife Indrani) নিয়ে মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন Tapas Sandilya। সেখানে ইসকনের (Mayapur, Iskcon) মন্দিরের মূর্তিগুলি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ইন্দ্ৰানী। তখনই তিনি স্বামীর কাছে আবদার জুড়ে বসেন। তিনি যদি স্বামীর আগে প্ৰয়াত হন তাহলে স্বামী যেন তাঁর একটি মূর্তি তৈরি করেন। একদম ইসকন মন্দিরের মূর্তির মতো।
স্ত্ৰীর শেষ ইচ্ছেপূরণের তাগিদ চেপে বসে তাপসবাবুর মাথায়। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ইন্টারনেট ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় মূর্তি তৈরির জন্য কারিগর খুঁজতে শুরু করেন। তারপর দমদমেই খোঁজ পান শিল্পী সুবিমল দাসের (Subimal Das, age 46)। তাপস সান্ডিল্য একজন অবসরপ্ৰাপ্ত সরকারি কর্মচারি। মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে বিপুল অর্থ খরচ করে সিলিকনের মূর্তি তৈরি করা অবাস্তব। কোনও ব্যপার নয়। স্ত্ৰীর শেষ ইচ্ছে পূরণে শেষ পর্যন্ত আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে সিলিকনের মূর্তি তৈরি করে দেন শিল্পী সুবিমল দাস। প্ৰথমে ইন্দ্ৰানীর মুখমন্ডলের বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের ছবি প্ৰাথমিকভাবে সংগ্ৰহ করা হয়। তারপর ধীরে ধীরে পুরো মূর্তী তৈরি করা হয়। প্ৰায় দু মাস সময় লেগেছিল মূর্তিটি তৈরি করতে। মূর্তিটির ওজন প্ৰায় ৩০ কেজি। মূর্তিতে ইন্দ্ৰানীর পছন্দের সোনার গয়নাও (Golden Jewellery) পড়ানো হয়েছে। অসম তৈরি সিল্ক (Assam Silk) শাড়ি পারানো হয়েছে, যা তিনি ছেলের বিয়ের বৌভাতে পড়েছিলেন।