মুম্বইঃ Actor Tunisha Sharma আত্মহত্যার তদন্ত এখনও চলছে। তারই মাঝে সোমবার অভিনেত্ৰীর প্ৰাক্তন প্ৰেমিক শীজান খানের (Sheezan Khan) আইনজীবী শৈলেন্দ্ৰ মিশ্ৰ একাধিক দাবি করলেন।
সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন- তাঁর মক্কেল শীজান খান সম্পূর্ণ নির্দোষ। সেই সঙ্গে অভিনেত্ৰীর পরিবারের সম্পর্কে কিছু তথ্য তিনি খোলাসা করেন। জানান- অভিনেত্ৰীর কাকা পবন শর্মা ভাতিজি অর্থাৎ তুনিশার (Tunisha Sharma) ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। খারাপ ব্যবহারের জন্য চার বছর আগে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তুনিশা।
অন্যদিকে আইনজীবী তুনিশার (Tunisha Sharma) মামা সঞ্জীব কৌশলকে নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন। আইনজীবী শৈলেন্দ্ৰ মিশ্ৰ-র অভিযোগ, মূলত অভিনেত্ৰীর মা এবং মামা সঞ্জীব মিলে Actor তুনিশার (Tunisha Sharma) অর্থ নিয়ন্ত্ৰণ করতেন। প্ৰয়োজনে মায়ের কাছে হাত পেতে তুনিশাকে টাকা চাইতে হতো। তাই স্বাভাবিকভাবেই মা এবং মামার সঙ্গেও তুনিশার (Tunisha Sharma) সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না বলে দাবি করেছেন আইনজীবী সঞ্জীব মিশ্ৰ।
মামার প্ৰরোচনাতেই অভিনেত্ৰীর মা একবার তুনিশার (Tunisha Sharma) মোবাইল ফোন ভেঙে দেন এবং মেয়ের গলা টিপে ধরেন!
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শীজানের বোন ফলক নাজ । ইতিমধ্যেই Social Mediaয় খবর ছড়িয়েছে- শীজান নাকি তুনিশাকে বোরখা পরতে বাধ্য করতেন। বিষয়টির বিরোধীতা করেন শীজানের বোন ফলক নাজ।
তুনিশার মা বিনিতা শর্মা গত সপ্তাহে দাবি করেছেন- অভিযুক্ত শীজান খান এবং তাঁর পরিবার তাঁর (বিনিতা শর্মা) মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন শীজান খানের মোবাইল ফোন তিনি চেক করেছিলেন এবং সেখানে অন্য মেয়ের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বার্তা তিনি দেখেছেন।
উল্লেখ্য যে, এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ বিরোধিতা করে শীজানের বোন ফলক নাজ বলেন- তারা কখনও কাউকে কোনও কিছু করার জন্য জোর খাটান না। তিনি এও বলেন- তুনিশা বিচার পাক এটা তারা চান, তবে তাঁর মা (Binita Sharma) মিথ্যাভাবে শীজানকে এই মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন, এটা ঠিক নয়।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, প্ৰেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ১৫ দিন পর, গত ২৪ ডিসেম্বর সিরিয়ালের সেটে ওয়াশ রুমে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অভিনেত্ৰী তুনিশা শর্মার (Tunisha Sharma) মৃতদেহ। এই ঘটনা মুম্বইয়ে (Mumbai) অভিনয় জগতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। তুনিশার মা মেয়ের আত্মহত্যার কথা মানতে পারছেন না। তাঁর দাবি, মেয়ের এই পরিণতির জন্য প্ৰেমিক তথা সহ অভিনেতা শীজানই দায়ী।