নয়াদিল্লিঃ ৫০ জন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীর (Wilful Defaulters) কারণে ভারতীয় ব্যাংক থেকে লোপাট হয়েছে ৯২হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। ঋণ খেলাপীদের শীর্ষে রয়ছেন পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোক্সি (Mehul Chkosi) তিনি একাই আত্মসাৎ করেছেন সাড়ে ৭ হাজার কোটির ও বেশি। সংসদে এক প্ৰশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানিয়েছে কেন্দ্ৰ।
এই পরিস্থিতিতে (Bhagwat Karad, the minister of state for finance) লোকসভায় অর্থ প্ৰতিমন্ত্ৰী ভাগবত কারাদ জানিয়েছেন- ২০২২ সালের ৩১ মার্চ হিসেব মতে এই তালিকার শীর্ষে চোক্সি রয়েছেন। তাঁর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমস (Gitanjali Gems) ৭ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা প্ৰতারণা করেছে।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া (Vijay Malya), মেহুল চোক্সি (Mehul Chkosi), নীরব মোদী(Nirav Modi)দের মতো শিল্পপতিরা বিপুল পরিমাণে ঋণ নিয়ে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন। অনেক চেষ্টার পরও তাঁদের ফেরানো যায়নি। এই ধরনের প্ৰতারণায় ভারতীয় ব্যংকগুলি থেকে লোপাট হয়েছে বিপুল অর্থ।
ঋণখেলাপির তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে এরা ইনফ্ৰা (Era Infra) ও রেইগো আ্যাগ্ৰো (Reigo Agro)। এই দুই সংস্থা যথাক্ৰমে ৫ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা ও ৪ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা ব্যাংকে ঋণ শোধ করেনি।
এই ধরনের বিপুল পরিমাণের অর্থের ঋণখেলাপের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে এসবিআই। লোকসান হয়েছে ২ লক্ষ কোটি টাকা। এরপরই তালিকায় রয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক। পিএনবি-র লোকসান হয়েছে ৬৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকা। এরপর তালিকায় রয়েছে আইসিআইসিআই। লোকসান হয়েছে ৫০ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। এইচডিএফসি-র লোকসান হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা।
এই ধরনের প্ৰতারণা ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে চাইছে আরবিআই। প্ৰযুক্তি ক্ষেত্ৰে বেলজিয়াম ভিত্তিক বিশেষ কয়েকটি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।