ঢাকা: বাংলাদেশের শেখ হাসিনা তো, শেখ হাসিনাই। তুলনা শুধু তাঁর নিজের সঙ্গেই। তদুপরি তিনি বাংলাদেশের স্থপতি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। আজকের এমন উচ্চতায় উঠে আসার পথ তাঁর সহজ ছিল না মেটেই।
ছিল অনেক করণাকীরণ। চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ তিনি বাংলাদেশের টানা তিনবার চারবারের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৫ সালের মধ্য আগস্টে বঙ্গবন্ধু তাঁর স্ত্রী-তিন পুত্র, দুই পুত্রবধূ ও পরিবারের ১৮ সদস্যসহ নিহত হন কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে।
শেখ হাসিনা ওইদিন ছোটবোন শেখ রেহানাসহ স্বামীর কাছে জামানীতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। এরপর শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে এলেও ঘাতকরা তাঁর পিছু ছাড়েনি। ১৯-বার তাঁকে হত্যা অপচেষ্টা করা হয়।প্রতিবার তিনি অলৌকিকভাবে রক্ষা পেলেও তাঁর সঙ্গীরা প্রাণ হারিয়েছেন।
সাধারণ রোগীদের মতো হাসপাতালে গিয়ে দশ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরআগেও তিনি হাসপাতালে গিয়ে টিকিট কেটে চিকিতসা নিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখের পরীক্ষা করান প্রধানমন্ত্রী। চোখ পরীক্ষা শেষে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে দেখেন এবং এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন।
এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত রোগীদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন, তাদের কুশলাদি জিজ্ঞাস করেন, তাদের কাছে দোয়া চান এবং তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেও দোয়া করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার চোখের চিকিৎসা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে করিয়ে থাকেন। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এখন আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন একটি বিশেষায়িত চক্ষু সেবা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে রয়েছে উন্নত মানের চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মানসম্মত চিকিৎসক।