আগরতলা: আগরতলায় (agartala) তিনদিনব্যাপী আগর ক্রেতা বিক্রেতা সম্মেলন চলছে। এই সম্মেলনে ফিলিপাইন্স, আবুধাবি, দুবাই, ফ্রান্স এবং কম্বোডিয়া থেকে মোট কম্বোডিয়া থেকে মোট ৪৫জন আগ্রহী ক্রেতা এসেছেন।
পাশাপাশি tripura রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ৪০জন বিক্রেতা আগরের বিভিন্ন আকারের চিপ এবং বিভিন্ন ধরনের আগর তেল নিয়ে এসেছেন। তারা তাদের সামগ্রী গুলি প্রদর্শনী আকারে তুলে ধরেন।
এর সূচনা করেন tripura র মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন tripura শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়, ত্রিপুরার মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, বন দপ্তরের পি সি সি এফ কে এস শেট্টি, ভারত সরকারের বিদেশ রপ্তানী মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনেরাল ড. অমীয় চন্দ্র, Tripura সরকারের ত্রিপুরা সরকারের পরিকল্পনা পর্ষদের সাবেক সদস্যা রশ্মী ভর্মা, ত্রিপুরা সরকারের বনদপ্তরের অতিরিক্তবনপাল প্রবীণ আগারওয়াল প্রমুখ।
Tripura রাজ্যে আগরভিত্তিক শিল্প উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্য সরকার এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে প্রয়াস নিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় আগরতলার একটি হোটেল বন দপ্তরের উদ্যোগে এবং জাইকা স্ক্যাটফর্ম প্রজেক্টের সহযোগিতায় আয়োজিত তিনদিনব্যাপী আগরভিত্তিক ক্রেতা বিক্রেতা সম্মেলনের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।
তিনি আরো বলেন, এক সময় এই আগরতলায় আগর গাছের প্রচুর সম্ভার ছিল। এই আগর থেকেই আগরতলা নামের উৎপত্তি বলে অনেকে মনে করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের আগর পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আগর চেয়ে অনেকটাই উন্নত। রাজ্যে আগরকে ভিত্তি করে ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার আগর ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট আন্তরিক। যা বিগত দিনে উপেক্ষিত ছিল। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার আগর শিল্প ক্ষেত্রের প্রসার এবং তার বিকাশে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
আগর চাষী সহ ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে গ্রহণ করা হয়েছে আগর উড পলিসি সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ। তিনি বলেন, রাজ্যে বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রায় ১২ মিলিয়নের বেশি আগর গাছ রয়েছে। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই ২৫ মেট্রিকটন আগর উড চিপস এবং ১,৫০০ কেজি আগর গাছের তেল দেশ থেকে রপ্তানি করার অনুমোদন দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার আগর সেক্টরের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার আগর গ্রোয়ার এবং আগর প্রক্রিয়াকরণকারীদের পাশে রয়েছে যাতে ভবিষ্যতে তারা আগরকে কেন্দ্র করে আর্থিক দিক থেকে এগিয়ে যেতে পারে।
সম্মেলনে ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায় বলেন, রাজ্যে আগর চাষের সঙ্গে যুক্তরা অনেকটাই দক্ষ। তিনি আগর থেকে উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে আধুনিক নীতি অবলম্বন করার পাশাপাশি গুণগত দিকটিও নজর দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
আগর সেক্টরের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি উদ্যোগপতি ও বিনিয়োগকারীদেরও সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলায় আগরের একটি বাজার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি এই সম্মেলনের সার্বিক সফলতাও কামনা করেন। সম্মেলনে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, ভারত সরকারের পর্যটন দপ্তরের প্রাক্তন সচিব রেশমি ভার্মা, ত্রিপুরা সরকারের বন দপ্তরের প্রধান মুখ্য বন সংরক্ষক কে এস শেঠি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাইকা স্ক্যাটফর্ম প্রজেক্টের সিইও ড. এ এম কানফাডে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে আগর সুগন্ধীর আনুষ্ঠানিক সূচনাও করা হয়। এই সম্মেলনে দেশ এবং বিদেশের বিনিয়োগকারীরাও অংশ নিয়েছেন।