হাইলাকান্দি কাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। দাঙ্গাকারি এবং দাঙ্গায় উৎসাহ প্রদান করা দু-পক্ষের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হবে। কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। বরাক উপত্যকা বিজেপি কোর্ডিনেশন কমিটির সদস্যদের এভাবেই আশ্বাস দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
গত ১০ মে হাইলাকান্দি শহরে হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের বিস্তারিত তথ্য এবং রিপোর্ট নিয়ে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতীয় জনতা পার্টির বরাক উপত্যকার তিন জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নিয়ে গঠিত কোর্ডিনেশন কমিটি। এই কমিটিতে হাইলাকান্দি থেকে ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত কুমার নাথ, সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সম্পাদক সৈকত দত্ত চৌধুরী, সহ সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য্য, প্রাক্তন জেলা সভাপতি ক্ষিতিশ পাল, জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সন্দীপন পাল, শহর মণ্ডল বিজেপি সভাপতি মানব চক্রবর্ত্তী, সম্পাদক সঞ্জয় দে, স্বপন পাল, গৌতম গুপ্ত, অমিত কুমার দেব। শিলচর থেকে প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন জেলা সভাপতি কৌশিক রাই, এবারের লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ডাঃ রাজদ্বীপ রায়, উধারবন্দ বিধানসভার বিধায়ক মিহির কান্তি সােম, কাটিগড়ার বিধায়ক অমর চান্দ জৈন, দলের বরাক উপত্যকার সাংগঠনিক সম্পাদক নিত্য ভূষণ দে, হাইলাকান্দি জেলার প্রভার রামকৃষ্ণ সিনহা এবং করিমগঞ্জ জেলা থেকে প্রতনিধি হিসাবে ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, আসাম বিধানসভার উপাধ্যক্ষ কৃপানাথ মাল্লাহ, পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, শিপ্রা গুন, অমরেশ রায় প্রমুখ।
শনিবার বিকেল চারটায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী আবাসে এই প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সভায় তাঁরা গত ১০ মে কি পরিস্থিতিতে এবং কিভাবে হাইলাকান্দি শহরে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। একই সাথে এই ঘটনায় শহরে হওয়া ক্ষয় ক্ষতির ও সম্পূর্ণ তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। তাঁরা হাইলাকান্দি শহরে একটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবী উত্থাপন করেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ব্যবসায়ীদের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ প্রদানের ও দাবী জানান বিজেপি নেতারা।
তাঁরা এই ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কথাও মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। হাইলাকান্দি জেলা বিজেপি নেতারা এই ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মূলক ভাবে সাজিয়ে হাইলাকান্দিকে অস্থির করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান।
এছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ও দাবী উত্থাপন করেন তাঁরা।মুখ্যমন্ত্রী সনোয়াল তাঁদের বক্তব্য শুনার পর এই বিষয়ে সরকারের শূন্য সহনশীল নীতির কথা জানিয়ে খুব শীঘ্রই এঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।