নয়াদিল্লিঃ Delhiর ভয়ঙ্কর হত্যা মামলার অভিযুক্ত Aftab Amin Poonawalla, তাঁর লিভ-ইন পার্টনার Shraddhaকে হত্যা করার পরে রক্ত পরিষ্কারের পদ্ধতিটি জানতে Google সার্চ করেছিলেন। মানব শারীরস্থান সম্পর্কে পড়েছিলেন। সোমবার দিল্লি পুলিশ তাঁকে জেরা করার পর এই কথা জানতে পেরেছে।
Americaর জনপ্রিয় অপরাধমূলক ওয়েবসিরিজ ডেক্সটার দেখে লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। আর খুনের পর ‘প্রমাণ লোপাট’ করতে দিল্লির মেহরৌলি হত্যাকাণ্ডে ধৃত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা সাহায্য নিয়েছিলেন সার্চ ইঞ্জিন গুগ্লের!
সোমবার রাতে ধৃতের ‘গুগ্ল করার পরিসংখ্যান’ও প্রকাশ করা হয়েছে Policeএর তরফে। তবে শুধু ডেক্সটার নয়, লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়ালকরকের খুনের আগে আফতাব একাধিক অপরাধমূলক ছবি ও ওয়েব সিরিজ দেখে পরিকল্পনা করেছিলেন বলে তদন্তকারী দলের সদস্যেরা মনে করছেন। তাঁদেরই এক জন জানিয়েছেন, এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক ছবি ও ওয়েবসিরিজের প্ৰভাব দেখা যাচ্ছে।
Delhi Policeএর জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে আফতাব গত ১৮ মে লিভ ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছিলেন এবং পরে মৃতদেহ নিষ্পত্তির পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন। তিনি জেরায় Policeকে বলেছেন যে তিনি মানুষের শারীরস্থান সম্পর্কে পড়েছিলেন যাতে এটি তাকে দেহ কেটে ফেলতে সহায়তা করতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে যে তারা আফতাবের ইলেকট্রনিক গ্যাজেটগুলি জব্দ করেছে এবং এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হবে। গ্যাজেট ও Google সার্চ হিস্ট্রি যাচাই করার পর পুলিশ আফতাবের স্বীকারোক্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
Delhi Police ৬ মাস আগে হত্যা রহস্য ফাঁস করেছে। ২৭ বছরের লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধাকে ২৮ বছরের আফতাব খুন করেন বলে অভিযোগ। এর পর প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরো করেছিলেন তিনি। তার পর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সেই টুকরোগুলি। টুকরোগুলির পচন এড়ানোর জন্য নতুন একটি ফ্রিজও কিনে ফেলেছিলেন আফতাব। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার গ্রেফতার হন আফতাব। তাঁকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, অপরাধ নিয়ে সিরিজ ‘ডেক্সটার’ দেখতেন তিনি।
Mumbaiয়ের বাসিন্দা আফতাব আমিন পুনাওয়াল্লা অভিযুক্তকে শনিবার শ্ৰদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছিল। তাকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
আফতাব এবং শ্রদ্ধা একটি কল সেন্টারে কাজ করা সময় ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয় দুজনের। তারপর প্ৰেম। বছর তিনেক আগে দুজনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। পরে Mumbai ছেড়ে Delhiতে একটি ভাড়া বাড়িতে একসাথে Live-in থাকতেন। দিল্লি পুলিশ শ্রদ্ধার বাবার কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছে এবং ১০ নভেম্বর একটি FIR নথিভুক্ত করা হয়েছে।