গুয়াহাটি: ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা প্রায়শই বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা অনুভব করি। তবে আমরা যদি কিছু ভাল অভ্যাস অনুসরণ করে এই সমস্যাগুলি থেকে রেহাই পেতে পারি।
নিউট্রাসি লাইফস্টাইলের সিইও (CEO of Nutracy Lifestyle) ডাঃ রোহিনী পাতিল এই ধরনের অসুস্থতা প্রতিরোধ করার জন্য অনুসরণ করার জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি দিয়েছেন।
নিয়মিত সুষম খাবার খাওয়াঃ খাবার এড়িয়ে যাওয়া এবং সারাদিন কাজ করা আপনার স্বাস্থ্যের উপর বড় ক্ষতি করতে পারে। খাবারের প্রধান কাজ হল শক্তি বজায় রাখা। নিয়মিত সুষম খাদ্য (well-balanced diet) একজন মানুষকে সারাদিন উদ্যমী রাখতে সাহায্য করে।
প্ৰতিদিন খাদ্য তালিকায় ফল(fruits), শাকসবজি (vegetables,) গোটা শস্য (whole grains) এবং ক্যালসিয়াম (calcium) অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে তা শীরের পক্ষে ভালো। এগুলি রক্তচাপ বজায় রেখে মানব শরীরে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়কে মজবুত রাখে।
প্রতিদিন আধঘন্টা হাঁটা: হাঁটা (Walking) একটি দুর্দান্ত ব্যায়াম যা আপনার শরীরের প্রতিটি পেশীকে নাড়া দেয়। জীবনে সতেজতা আনতে চাইলে প্ৰতিদিন নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটা খুব জরুরি। হাঁটা কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুকি কমায়। এটি শুধুমাত্র মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতাকে উন্নত করে না বরং এটি হতাশা থেকেও রেহাই দেয়।
নিয়মিত হাইড্রেট করুন: জল শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। একটি সুস্থ শরীর ধরে রাখতে Water খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, সেই জয়েন্টগুলিকে ভালভাবে লুব্রিকেটেড রাখে, সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং আপনার অঙ্গগুলি সর্বোত্তমভাবে কাজ করে তা নিশ্চিত করে। প্রতিদিন অন্তত ২ লিটার জল পান করতে হবে। যদি শুধু জল পান না করতে পারেন তবে এতে লেবু, পুদিনা এবং শসা যোগ করেও পান করা যায়।
মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া: অনেকগুলি কারণ যেমন ভারী কাজের চাপ, দীর্ঘ স্থানান্তর, শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার অভাব, সামাজিক সমর্থনের অভাব এবং আরও অনেক কিছু আপনার চাপের কারণ হতে পারে। এগুলি আপনার স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার (lifestyle) উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্ট্রেস আপনার রক্তচাপ, স্থূলতা এবং হৃদরোগ বাড়াতে পারে। এটি হতাশার কারণও হয় যা আপনার স্বাস্থ্যকে খারাপভাবে প্রভাবিত করবে, তাই আপনি যা করতে পারেন তা হল চাপ এড়ানো। স্ট্রেস নেওয়া কিছুই পরিবর্তন করবে না, কেবল শিথিল করুন এবং শান্তভাবে আপনার সমস্যাগুলি সমাধান করুন।
উন্নত মানসম্পন্ন ঘুম: সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে প্ৰতিদিন নিয়ম করে ৮ ঘন্টা খুব প্ৰয়োজন। ঘুমের সঙ্গে কখনও আপোস করা উচিত নয়। সঠিক সময়সূচী বজায় রাখার চেষ্টা করুন। রাতে কখনই ভারী খাবার খাবেন না। সঠিক ঘুম হৃদরোগ, বিষণ্নতা এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমায়।
রাতারাতি কিছুই হয় না, সব কিছুতেই সময় লাগে। একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করাটা সহজ কথা নয়। নিয়মের মধ্যে আসতে হলে অবশ্যই বাস্তববাদী হতে হবে। দিন ভাল এবং খারাপ সবই জীবনের অংশ, হয়তো কখনও কখনও আপনি খুব শক্তিশালী এবং কখনও কখনও আপনি বিছানা থেকে উঠতেও চান না। আপনাকে ট্র্যাকে থাকতে হবে এবং ধারাবাহিকা বজায় রাখতে হবে। ছোট ছোট পরিবর্তনের সাথে চেষ্টা করতে হবে, তাহলে অবশ্যই এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।