আগরতলা: বিধায়ক হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজ এলাকার উন্নয়ন তহবিল থেকে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করলেন ত্রিপুরা tripura রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা।
রবিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকার ঐকতান যুব সংস্থার কার্যকর তাদের হাতে এম্বুলেন্সের চাবি তুলে দেন। এই সময় তার সঙ্গে ছিলেন আগরতলা agartala পৌর নিগম এর সেন্ট্রাল জোনের চেয়ারপারসন রত্না দত্ত সহ ঐকতান যুব সংস্থার পরিচালক মন্ডলী এবং স্থানীয় এলাকার গুণীজন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন ক্লাব সংস্কৃতি বলতে বোঝাত অস্ত্রের ঝংকার, মারপিট, এলাকা দখল ইত্যাদি। কিন্তু এখন এই সংস্কৃতি বদলেছে।
তিনি আরো বলেন, এখন ক্লাবগুলো বেশি করে নিজেদের সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করছে। আর এমন একটা সময়ে একটি ক্লাব এম্বুলেন্সের অভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারবে না সেটা মেনে নেয়া যায় না।
সবাইকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানিয়ে Tripura মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ অ্যাম্বুলেন্স প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে এই ক্লাবের দীর্ঘদিনের একটা দাবি পূরণ হলো। ঐকতান যুব সংস্থা ক্লাবকে ঘিরে নিজের অতীত স্মৃতির কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে Tripura মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন তিনি এই ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন।
পরবর্তী সময় ক্লাব সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। এম্বুলেন্স পরিষেবার উদ্বোধন করে Tripura মুখ্যমন্ত্রী বলেন ক্লাব কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটির রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ।
খেয়াল রাখতে হবে প্রয়োজনে যাতে সবাই এর সুফল পেতে পারে। স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে Tripura রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টার উপরেও আলোকপাত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন রাজ্যে সরকারি চিকিৎসকের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে।
ত্রিপুরা Tripura হেলথ সার্ভিসের জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসারের সংখ্যা ১৪৮০ থেকে বাড়িয়ে ২১৭০ করা হয়েছে। মন্ত্রীসভার বৈঠকে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে ৮ জন ফুড সেফটি অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
খুব শীঘ্রই এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে। হাসপাতালগুলোতে নয়টি সুপার স্পেশালিটি বিভাগ খোলা এবং একটি ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের কাজও সম্পন্ন হওয়ার পথে।
শুধু তাই নয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে ৬০৭০ এর মতো স্পেশাল একজিকিউটিভ নিয়োগ এর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। টেট উত্তীর্ণদের সুখবর দিয়ে Tripura মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন শীঘ্রই তাঁদের ৩০০০ জন একসাথে চাকরি পেতে চলেছেন।
আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই সমস্ত প্রক্রিয়াগুলো শেষ করতে রাজ্যের সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মাননীয় Tripura মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সাহা। কর্মচারীদের যথাক্রমে ৩ শতাংশ ও ৫ শতাংশ ডিএ দেয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।
পর্যায়ক্রমে আরো ডিএ প্রদান করে ব্যবধান কমিয়ে আনবে রাজ্য সরকার। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আগরতলা পুর নিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর তথা সেন্ট্রাল জোনের চেয়ারপার্সন রত্না দত্ত, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক ডাঃ তপন মজুমদার, ক্লাবের বর্তমান সভাপতি নাগাধিরাজ দত্ত, সেক্রেটারি সঞ্জিব সাহা সহ অন্যান্য সদস্য ও এলাকাবাসীগণ।