আগরতলা: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটা বিশেষ উৎসব কঠিন চীবর দান Kathin Chibor Dan। রবিবার রাজধানীর কুঞ্জবনের বেনুবন বিহারে পালিত হল কঠিন চীবর দান উৎসব,Kathin Chibor Dan।
এদিন সকাল থেকেই প্রচুর সংখ্যক বুদ্ধিস্টরা যোগ দিলেন ৪৫ তম কঠিন চীবর দান উৎসবে Kathin Chibor Dan। কঠিন চীবর দান Kathin Chibor Dan বৌদ্ধধর্মীয় অনুষ্ঠানবিশেষ। এদিন ভিক্ষুদের চীবর অর্থাৎ বস্ত্র দান করা হয়।
বৌদ্ধদের বিশ্বাসমতে সমস্ত দানের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এই চীবর দান। ‘চীবর’ chibor শব্দের অর্থ ভিক্ষুরা যে বস্ত্র পরেন। গৃহীরা ভিক্ষুদের এ বস্ত্র দান করে।
তবে সকল ভিক্ষুই চীবর পরতে পারেন না; যারা ত্রৈমাসিক বর্ষাবাস শেষ করেছে কেবল তারাই চীবর chibor ব্যবহার করতে পারে।
চীবর দান chibor dan কথাটির সঙ্গে কঠিন শব্দটি যুক্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানা যায়, যেদিন চীবর দান করা হবে সেদিনের সূর্যোদয় থেকে পরবর্তী সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সুতাকাটা, কাপড় বোনা, কাপড় কাটা, সেলাই ও রঙ করা, ধোওয়া ও শুকানো- এ কাজগুলি সম্পন্ন করে এই সময়ের মধ্যেই এ চীবর ভিক্ষুদের দান করতে হয়।
এ ছাড়া আরও কিছু নিয়ম আছে, যা দাতা এবং গ্রহীতা দু’পক্ষেরই পালন করা বেশ কঠিন। তাই এ অনুষ্ঠানের নাম হয়েছে কঠিন চীবর দান Kathin Chibor Dan।
চীবর দানের ফল সম্পর্কে শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, শতবর্ষের দান কিংবা পৃথিবীর সকল প্রকার দান একত্র করলে তার যে ফল তা একখানি চীবর দানের ফলের ষোলো ভাগের এক ভাগও নয়।
সুতরাং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বৌদ্ধদের জন্য চীবর দানের গুরুত্ব অপরিসীম। এ দান জন্মজন্মান্তরে সুফলপ্রদায়ী। রবিবার রাজধানীর কুঞ্জবনের বেনুবন বিহারে পালিত হল কঠিন চীবর দান উৎসব।
৪৫ তম কঠিন চীবর দান উৎসব ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে। বেনুবন বিহারে প্রার্থনা থেকে শুরু করে চীবর দানে প্রচুর ভক্ত সমাগম ঘটে।
এই বিশেষ দিন সম্পর্কে বললেন বেনুবন বিহারের ভিক্ষু। রবিবার সন্ধ্যায়ও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বেনুবন বিহারে।