নয়াদিল্লিঃ পরোক্ষভাবে বোরখা (Burqa) ও হিজাব (Hijab) নিষিদ্ধ হতে চলেছে Switzerlandএ। Burqa ও Hijab পরলেই জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইজারল্যান্ড সরকার। এই মর্মে আইন তৈরি করার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। জনসাধারণের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে বোরখা ও হিজাব পরলেই এক হাজার মার্কিন ডলারের জরিমানা গুণতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮২ হাজার টাকা। এই আইন পাশ করানোর জন্য পার্লামেন্টে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
গত বছরেই প্রকাশ্যে বোরখা পরা নিয়ে গণভোট হয়েছিল সুইজারল্যান্ডে (Switzerland)। ভোটে ৫১.৬ শতাংশ মানুষ রায় দিয়েছিলেন, নিষিদ্ধ করা হোক বোরখা পরা। যদিও ইসলাম বিরোধী হিসাবে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল সেদেশ, তা সত্বেও মানুষের রায়কে সম্মান দিয়ে বোরখা পরাকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয় সুইজারল্যান্ডে। দীর্ঘ আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দণ্ডবিধির আওতায় আনা হবে Burqa ও Hijab পরার অপরাধকে। পাশাপাশি বড় অংকের জরিমানা করা হবে বলে স্থির করা হয়।
তবে Switzerland প্ৰশাসনের বক্তব্য, শাস্তি দেওয়া তাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই এই পোশাকগুলি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী হামলার সময়ে দেখা গিয়েছে, আততায়ীরা নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখার জন্য বোরখা পরেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত। Switzerland সরকারের একাংশের দাবি, বোরখা-হিজাবের মতো পোশাক নিষিদ্ধ করে দিলে নারী-পুরুষের মধ্যে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এর ফলে Switzerland সরকারের বিরুদ্ধে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে আইন প্রণয়ন করার যে খসড়া জমা দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের সরকার, সেখানে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে চলাফেরা করার সময়ে কেউ যদি মুখ ঢেকে রাখা পোশাক পরে, তাহলে তাকে জরিমানা দিতে হবে। চোখ-মুখ ঢেকে রাস্তায় চলাফেরা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে মুসলিম মহিলাদের মাথার চুল ঢেকে রাখার অনুমতি রয়েছে। ধর্মস্থানে Burqa পরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে মুসলিম নারীদের।