আগরতলা : আগামী ২১অক্টোবর আগরতলার আস্তাবল ময়দানে ত্রিপুরা tripura রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআই(এম) এর ডাকে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
একথা জানিয়েছেন দলের ত্রিপুরা tripura রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি আরো বলেন গত সাড়ে চার বছরে ত্রিপুরা tripura রাজ্যে চরম বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
Tripura রাজ্যের গ্রামপাহাড়ে কাজ নেই। সামান্যতম যেসব বরাদ্দ করা হয় কাজের জন্য তা চলে যায় শাসকদলের রাঘব বোয়ালদের পকেটে। Tripura রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে।
যেখানে ব্লকে অডিট করতে এক সপ্তাহ লেগে যায় সে জায়গাতে একদিনেই লোক দেখনো অডিট হচ্ছে। নতুন কোন কাজ হচ্ছে না। যে কিছু কাজ হচ্ছে এগুলির বিল দেওয়া হচ্ছে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে কোন টেন্ডার ছাড়াই কাজ করে নিচ্ছেন শাসক দলের মাফিয়ারা।
এই সকল কাজকর্মের ফলে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিতায় বড় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। মাত্র কদিন আগে যে দুর্গা উৎসব শেষ হয়েছে তাতে এর প্রভাব দেখা যায়। সাধারণ মানুষের হাত খালি থাকায় পূজাকে ঘিরে তাদের মধ্যে কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি।
এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান্নার গ্যাস জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সাড়ে চার বছরে কোন ধরনের নতুন নিয়োগ করা হয়নি কিন্তু পাল্লা দিয়ে ছাটাই করা হয়েছে। নতুন চাকরি না হওয়ার কারণে tripura রাজ্য স্কুলগুলি ফাঁকা হয়ে পড়েছে শিক্ষক স্বল্পতার জন্য।
এই পরিস্থিতিতে tripura রাজ্যের দিকে দিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, এই বিষয়ে তুলে ধরার জন্য এবং সরকারের ঘুম ভাঙ্গানোর উদ্দেশ্যে অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে সিপিআইএম দলের তরফ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২০০ টি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
ডেপুটেশন মিছিল সভা ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিতে গুলিতে ১লাখের বেশী মানুষ সামিল হয়েছিল। বিভিন্ন দাবি আদায়ের জন্য বেকার যুবক-যুবতীরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করলে তাদের দমানোর জন্য পুলিশ লাঠিচার্জ জল কামান নিক্ষেপ টিয়ার গ্যাস সেল ফাটানো মত পদ্ধতি অবলম্বন করে ছত্রভঙ্গ করেছে।
গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চাইলে, পুলিশ শাসক দলের চাপের কারণে কর্মসূচি করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কি করে আবার মানুষদের প্রতারিত করা যায় এই চেষ্টা ইতিমধ্যে শুরু করেছে শাসক দল বলেও অভিযোগ করেন।
জিতেন্দ্র চৌধুরী আরো বলেন ন্যাশনাল ক্রাইম রিপোর্ট ব্যুরোর দেওয়া তথ্য অনুসারে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক হিংসা ত্রিপুরা প্রথম স্হানে রয়েছে। মুখে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা বললেও রাজ্যে এখন নেশার রমরমা বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেন।
এই বিষয়গুলো সারা রাজ্যের মানুষের সামনে এবং সারা দেশের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে ২১ অক্টোবর জনসভার আয়োজন করা হবে। ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশনে গত সাড়ে চার বছরে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আগামী দিনে তদন্ত হবে এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের হাতে হাতকড়া পড়বে বলেও জানান।