নয়াদিল্লিঃ ভারতীয় সংস্থার Cough Syrup ওপর সতর্কবার্তা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization সংক্ষেপে WHO)। সম্প্ৰতি গাম্বিয়াতে শিশু মৃত্যুর নেপথ্যে এই কফ সিরাপের যোগ থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে হু -এর তরফে। কফ সিরাপের নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে।
তবে কোন ওষুধ খেয়ে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এখনও ভারতের হাতে তুলে দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে জানা গিয়েছে, গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশু মৃত্যু পর গত ২৯ সেপ্টেম্বরই ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেছিল হু। জানা গিয়েছে হরিয়ানার মেডেন ফার্মার তৈরি চারটি ওষুধেই এই বিপত্তি হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে ডিসিজিআই।
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization সংক্ষেপে WHO) এখনও সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনকে ওষুধের লেবেল এবং পণ্যগুলির বিশদ তথ্য জানায়নি। এই বিশদ তথ্য সিডিএসসিও-কে দেওয়া হলেই উৎপাদনের উৎস নিশ্চিত করা হবে।
জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)র হাতে আসা প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পরীক্ষিত ২৩টি নমুনার মধ্যে চারটিতে ডাইথিলিন গ্লাইকোল/ইথিলিন গ্লাইকোল পাওয়া যায়। এরপরই মোট চারটি সিরাপ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ ব্যবহার না করার জন্য সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ওষুধ নির্মাতা সংস্থা।
এক টুইট বার্তায় হু-এর কর্তা অ্যাঢনম টেড্ৰস ঘ্যাব্ৰিয়েসেস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন – শিশু মৃত্যুর সঙ্গে কফসিরাপগুলির যোগ পাওয়া গেছে। ওই অষুধের প্ৰভাবে শিশুদের কিডনিতে ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতি হয়েছে। তাই ওই ওষুধগুলির ক্ষেত্ৰে সতর্কবার্তা জানানো হয়েছে ওই টুইটে। হু-এর তরফে এব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যোগাযোগ করা হচ্ছে ওষুধ প্ৰস্তুতকারি সংস্থার সঙ্গেও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, সংস্থা ওই ওষুধগুলি বাজারে আনলেও এখনও পর্যন্ত ওষুধগুলির গুণমান ও সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেওয়া হয়নি। দোষ প্ৰমাণ হলে বাতিল করা হতে পারে সংস্থার লাইসেন্স। এমনকি আইনি ব্যবস্থা নেওয়াওর ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্ৰ।