ঢাকা: বাংলাদেশে (bangladesh) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার (durga puja) মহাষ্টমী মানেই কুমারী পূজা।
সকাল ১১টায় ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনসহ কয়েকটি স্থানে কুমারী পূজা (kumari puja) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার (durga puja) আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস-এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘কুমারী’ মায়ের পূজা।
অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। কুমারী পূজা শেষে ৪০/৫০ হাজার ভক্ত মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছেন। কুমারী পূজা (kumari puja) ছাড়া সোমবার মহাষ্টমীতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে (dhakeswari) বেলা একটা থেকে সারা দিন ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
ঢাকার (dhaka) কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদিদের মধ্যেও প্রসাদ বিতরণ করা হয়। অন্য মন্দির ও মণ্ডপগুলোতেও পূজা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সব নারী ভগবতীর একেকটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। কুমারী পূজার (kumari puja) মাধ্যমে নারী হয়ে উঠে পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন।
প্রত্যেকে শ্রদ্ধাশীল হবে নারীর প্রতি। ১৯০১ সালে ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে কুমারী পূজার (kumari puja) মাধ্যমে এর প্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার (durga puja) অষ্টমী তিথিতে এ পূজা চলে আসছে।
পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এ ছাড়া নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে।
শাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৬ বছরের সুলক্ষণা কুমারীকে পূজা (kumari) করা হয়।