ঢাকা: বাংলাদেশে (bangladesh) ভোরে হয়েছে ‘কলাবউ’ স্নান। তারপরই দেবীর নবপত্রিকা (nabapatrika) প্রবেশের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে সপ্তমীর পূজা। নবপত্রিকাকে (nabapatrika) দেবীর ডানদিকে সিদ্ধিদাতা গণেশের পাশে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে।
নবপত্রিকা (nabapatrika) প্রবেশের পর দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়েছে। চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ত্রিনয়নী দেবীর মৃন্ময়ীতে।
মা’র সপরিবারে তিথিবিহিত পূজা শেষে অনুষ্ঠিত হয়েছে সপ্তমীবিহিত পূজা। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য ও চন্দন দিয়ে পূজা করা হয়েছে।
পূজা শেষে দেবী দুর্গার (debi durga ) চরণে পুষ্পাঞ্জলি দিয়েছেন ভক্তরা। ধূপ, পঞ্চপ্রদীপ, উলুধ্বনি আর ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে বাজছে শঙ্খনাদ। মণ্ডপে মণ্ডপে উচ্চারিত হচ্ছে পুরোহিতের মন্ত্র। সব বয়সী বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের হৃদয়ে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার।
সপ্তমী পূজা উপলক্ষ্যে নানা রঙের পোশাক পরে বিভিন্ন বয়সী মানুষ এসেছেন পূজামণ্ডপে। ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে (dhakeswari) আমাদের চ্যানেলের প্রতিনিধি গিয়ে দেখা গেছেন, রোবার সকাল থেকেই দেবী দর্শনে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ।
সারি সারি বাঁশ বেঁধে নির্ধারণ করা হয়েছে নারী-পুরুষের পৃথক প্রবেশ দ্বার। পুরো মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ-আনসারসহ একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকার খামারবাড়ী কৃষি ইনস্টিটিউট, রামকৃষ্ণ মিশন, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, শাঁখারী বাজার, রমনা কালী মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী পূজামণ্ডপ, পশ্চিম ধানমণ্ডির দুর্গা মন্দির, আখড়া মন্দির, নিমতলা মন্দির, ফার্মগেট, বনশ্রীসহ ঢাকার অন্য এলাকাতেও জমকালোভাবে আয়োজন করা হয়েছে দুর্গাপূজার (durga puja)।
প্রত্যেক পূজামণ্ডপে রঙ-বেরঙের বাহারি সব পোশাক পরে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। অলিগলি, রাজপথ সাজানো হয়েছে আলোক সজ্জায়। কাপড়-বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রবেশদ্বার। মন্দিরে মন্দিরে শোভা পাচ্ছে মায়ের প্রতিমা।
রঙ তুলির আঁচড়, প্রতীকী অস্ত্র, গহনা, শাড়িতে সজ্জিত করা হয়েছে উমা ও তার সন্তানদের। আয়োজকরা বলছেন, মহালয়ের পর থেকেই দর্শনার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়। কিন্তু সপ্তমীতিথিতে মূল পূজা শুরু হওয়ায় ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ।