‘খোকা মাকে শুধায় ডেকে, এলেম আমি কোথা থেকে, কোনখেনে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে’?
মায়ের ছোট্ট জবাব, ‘ইচ্ছা হয়ে ছিলি মনের মাঝারে’ ।।
আজ বিশ্ব মা দিবস। বাংলাদেশে প্রতিবছরের মত এবারও পালিত হচ্ছে মা দিবস।
জোহরা আনিস। বাংলাদেশের মা হিসেবে, বাংলার অধ্যাপক হিসেবে সফল একজন নারী। তিনি সমাজের পথ প্রদর্শক।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবেড়িয়ার কসবা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নবম শ্রেণীর এক ছোট্ট কিশোরির জোর করে বিয়ে দিতে চায় আত্মীয়স্বজন। সে বিয়ে জোহরার প্রতিবাদে বন্ধ হয়। জোহরা ছিলেন কুমিল্লা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। সেই মুনুয়ারাকে মায়ের স্নেহে নিজের বাড়িতে রেখে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন জোহরা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করে ছোট্ট মিনুয়ারা এখন এক সরকারি কলেজের বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক।
জোহরা আনিস ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৭৩ সালে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক পদে যোগ দেন। ২০০৪ সালে একই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি জোহরা একজন সফল মা। তাঁর মেয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিকস অ্যাণ্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক।
জোহরা সফল মা হিসেবে ২০০৬ সালে আজাদ প্রোডাক্টস সম্মাননা ও ২০১০ সালে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা গণিত ক্লাব সম্মাননা লাভ করেন।
মা জোহরা (৭২) বলেন, ‘একজন মা-ই পারেন পুরো পরিবারকে বদলে দিতে। এ জন্য প্রয়োজন, ধৈর্য, সততা, পরিশ্রম’।তিনি বিশ্বাস করেন, ‘যে মা তাঁর এবং আশপাশের সন্তানদের হাতে বই তুলে দেন , তিনিই আলোকিত মা’।