ঢাকা: ঢাকাসহ (dhaka) সারা বাংলাদেশে (bangladesh) এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা (durga puja)। এই ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা (durga puja) শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতিবছর অসুরের বিনাশ করতেই মা দেবী দুর্গা (durga ) ধরাধামে আবিভূত হন।
সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার দূর করতেই এ পুজার আয়োজন। দিন যতই এগিয়ে আসছে মণ্ডপগুলিতে শিল্পীর রঙ তুলির আঁচড়ে ততই মূর্ত হয়ে উঠেছে দেবীর রুপ। কোন কোন মণ্ডপে শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় চলছে মাটির কাজ।
আবার কোথাও কোথাও প্রতিমাগুলো (durga) রঙিন করার কাজে ব্যস্ত মালাকররা। তুলির আঁচড়ে সুন্দর করে তোলা হচ্ছে দুর্গা, গণেশ, কার্তিক ও মহিষাসুর, লক্ষী,স্বরস্বতি ও তাদের বাহনের প্রতিমা। পদ্ম ও শিউলি লাবণ্য ছড়িয়েছে, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এবার বাংলাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা (durga puja) অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ায় ঘোষিত হবে দেবীপক্ষ। এবার দেবী (durga puja) আসছেন হাতির পিঠে। বিশ্বাস বসুন্ধরা শস্যপূর্ণ করেই এবার দেবীর আগমন।
আগামি ১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হওয়া শারদোৎসবে (durga puja) বিজয়া দশমীতে দেবী ফিরবেন নৌকায় চড়ে। ইতোমধ্যে দুর্গোৎসবকে (durga puja) সামনে রেখে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে মণ্ডপ সাজানো ও নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ।
বাংলাদেশে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বী মানুষ যেন তাদের দুর্গাপূজা (durga puja) উদযাপন করতে পারেন তার জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।
ইতিমধ্যে পূজামণ্ডপগুলোতে ১ লাখ ৯২ হাজার আনসার, পুলিশ ও গোয়েন্দা মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্গাপূজায় বাংলাদেশের প্রতিটি মণ্ডপে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।