নয়াদিল্লিঃ কর্মক্ষেত্রে আজও লিঙ্গবৈষম্যের (Gender Discrimination) শিকার মহিলারা। পুরুষদের তুৃলনায় এখনও মেয়েরা কম বেতন পান। সেটা সরকারী হোক বা বেসরকারী ক্ষেত্ৰ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা International Labour Organization(ILO)-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই তথ্য প্ৰকাশ।
সেই রিপোর্টকে তুলে ধরে রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর সমবেতন দিবসে (ইক্যুয়াল পে ডে) বেতন-বৈষম্য দূরীকরণ অভিযান শুরু করল লিঙ্গ-সাম্য ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিজস্ব সংগঠন ‘ইউ উইমেন’।
অক্সফাম ইন্ডিয়ার একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে কর্মসংস্থানের ব্যবধানের ৯৮ শতাংশের কারণ লিঙ্গ বৈষম্য। আর এই কারণই সচেতন মহলে একটিই প্ৰশ্ন ঘোরাফেরা করছে, সত্যিই কী সমাজ এগিয়েছে? প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে নারীরা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পুরুষদের মতো কাজের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সামাজিক এবং নিয়োগকর্তাদের কুসংস্কারের কারণে বৈষম্যের শিকার।
এদিকে ILOর সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ব জুড়েই কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম উপার্জন করেন মহিলারা। বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টও বলছে, কেবল মাত্র লিঙ্গবৈষম্যের কারণে কর্মক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষদের উপার্জনের ক্ষেত্রে বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছে।
সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিভিন্ন সংস্থা সামাজিক দায়বদ্ধতার আইনের বাধ্যবাধকতার জন্য মহিলাদের নিয়োগ করছে। কিন্তু বেতনে বৈষম্য থাকছেই। বাড়তি কাজ করানো হচ্ছে মহিলাদের দিয়ে, যা তৈরি করছে বৈষম্যের নয়া সমীকরণ।
পুরুষ ও মহিলার মধ্যে উপার্জনের ব্যবধানের সর্বোচ্চ ৯১.১ শতাংশ বৈষম্য রয়েছে। একাডেমিকভাবে স্বীকৃত পরিসংখ্যান মডেলটি এখন শ্রমবাজারে নারীদের বৈষম্যের পরিমাণ নির্ধারণ করতে সক্ষম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতনভোগী মহিলাদের জন্য নিম্ন মজুরির ৬৭ শতাংশ কারণ বৈষম্য এবং ৩৩ শতাংশ শিক্ষা ও কাজের অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে।