গুয়াহাটি: সম্প্ৰতিক সময়ে দেশে বিরোধী শিবিরের বেশ কয়েকজনের বাড়িতে কেন্দ্ৰীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। বেশ কিছু নেতা, আধিকারিককে জেরার জন্য ইডি নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। এবার কেন্দ্ৰ সরকারকে তোপ দেগে মুখ খুললেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল (Meghalaya Governor) সত্যপাল মালিক। তাঁর বক্তব্য- যে শুধুমাত্র বিরোধী নেতাদেরই কেন? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)র বিজেপি নেতাদের উপরও অভিযান চালানো উচিত।
শনিবার জয়পুরে মেঘালয়ের রাজ্যপাল (Meghalaya Governor) Satya Pal Malik বলেন- “বিজেপি নেতাদের উপরও অভিযান চালানো উচিত। বিজেপিতে অভিযান চালানোর মতো অনেক রয়েছে,”।
তিনি এও দাবি করেছেন যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কথা বলা বন্ধ করলে লোকেরা তাঁকে সহ-সভাপতি করা হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্ৰাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের পদোন্নতি হওয়ার বিষয়ে তাঁকে প্ৰশ্ন করা হলে, তিনি বলেন- তিনি ইতিমধ্যেই কেন্দ্ৰের বিরুদ্ধ কথ বলা বন্ধ করলে উপ-রাষ্ট্ৰপতি করে দেওয়ার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তা করেন নি, তিনি যেটা ভালো মনে করেন সেটাই করেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর “ভারত জোড়ো যাত্রা” (“Bharat Jodo Yatra”) পদক্ষেপের জন্য তিনি রাহুলের প্ৰশংসা করেছেন। তিনি বলেন- রাহুল গান্ধী তাঁর দলের জন্য কাজ করছেন ভালোকথা।
ভারত জোড়ো যাত্রা কী বার্তা দিয়েছে জানতে চাইলে সত্যপাল মালিক বলেন, “আমি এটা জানি না। এটা লোকেদের বলার জন্য কিন্তু আমি মনে করি তিনি সঠিক কাজ করছেন। জাতীয় রাজধানীর রাজপথের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর দরকার নেই।
তিনি বলেছিলেন যে রাজপথ একটি ভাল নাম ছিল, ‘কর্তব্য পথ’ নামটি একটি মন্ত্রের মতো শোনায়।
সত্য পাল মালিক বলেছেন যে তিনি কৃষকদের স্বার্থে তাঁর আওয়াজ তুলতে থাকবেন, যারা শীঘ্রই তাদের দাবির জন্য একটি আন্দোলন শুরু করবে কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (MSP) দাবি পূরণ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
শিল্পপতি গৌতম আদানির প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তিনি বলেছিলেন যে অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর সম্পদ ক্রমাগত বেড়েছে অন্যদিকে কৃষকদের সংখ্যা কমছে।