নয়াদিল্লিঃ যে সময় মানুষ মহাকাশে যাচ্ছে গবেষণা করতে, ঠিক সেই সময় ভারতে অন্ধবিশ্বাসের জেরে ডাইনী হত্যার শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। শিক্ষার অভাবে একাংশ মানুষ মানুষের প্ৰাণ কেড়ে নিচ্ছে। সম্প্ৰতি Jharkhandএর রাজধানী Ranchiতে এমনই একটি হৃদয় মোচড়ানো ঘটনা প্ৰকাশ্যে এসেছে।
Ranchiর রানাদি নামের একটি গ্ৰামে রাজকিশোর মুণ্ডা নামের একটি ছেলেকে সাপ কামোড় দিলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ঝারফুকের জন্য ওঝার কাছে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। ওঝা ঝেরফুক করে তাকে বাঁচাতে পারে নি।
তারপর ওই ওঝা দাবি করেন গ্ৰামে ডাইনীদের কুনজর পড়েছে। সঙ্গে আরও বলেন- গ্ৰামটি ডাইনীদের অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে পড়েছে, তাই ছেলেটিকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার কিছুদিন পর একই গ্ৰামের আরেকটি ছেলেকে সাপ কামরায়। তাকে বাঁচানো যায়। তারপর গ্ৰামবাসীরা মনে করেন যে গ্ৰামে সত্যিই ডাইনীর প্ৰভাব পড়েছে।
তারপরই গ্ৰামেরই বাসিন্দা ৪৫ বছরের রাইলু দেবী, ৬০ বছরের ধোলী দেবী এবং আলমণি দেবীকে ডাইনী সন্দেহে লাঠি দিয়ে প্ৰহার করতে করতে গ্ৰামবাসীরা মেরে ফেলে। ওই ঘটনায় মৃতদের মধ্যে একজনের স্বামী এবং ছেলেও জড়িত আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবর যায় স্থানীয় পুলিশে। পুলিশ গ্ৰামে ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও গ্ৰামবাসীরা পুলিশকে সহযোগিতা করে নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
শেষ পর্যন্ত ঢাড়খণ্ডের সোনাহাট্টু পুলিশ থানার কাছে রানাদি গ্ৰামটির পাশে জঙ্গলের ভেতরে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তৃতীয়জনের মৃতদেহর খোঁজ অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ প্ৰশাসন।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, একটি প্ৰতিবেদনে জানা গিয়েছে, Jharkhandএ ২০০০ সাল থেকে প্ৰায় ১হাজার জনকে ডাইনী সন্দেহে প্ৰহার করে মারা হয়েছে। ঝাড়খণ্ড পুলিশের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, এই এক হাজারের মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী। প্ৰতিদিন গড়ে হিসাব করলে দেখা যায় প্ৰত্যেকদিন ৩ জন করে ডাইনী হত্যার শিকার হয়েছেন।