কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) যে এখন নাকানিচুবানি অবস্থা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হেভিওয়েট নেতারা দুর্নীতিতে যুক্ত; তাদের এক একজন বান্ধবীর সন্ধান পাওয়া গেল।
তবে তৃণমূল (TMC) অবশ্য বলছে সবাই চোর নয়, তৃণমূলকে (TMC) খারাপ ভাবার কারণ নেই। এক জনসভা থেকে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছিলেন সৌগত রায় (Sougata Roy)।
পানিহাটির এক সভা থেকে দমদমের সাংসদের বক্তব্য, এখন আমাদের দল কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কোনও দোষ নেই। দলের মধ্যে কিছু লোক খারাপ কাজ করেছে। যারা খারাপ কাজ করেছে তাদেরকে দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) দল বের করে দিয়েছে।
আরও বলেন, তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের (tmc) ৯৫ শতাংশ কর্মী সৎ ও নিষ্ঠবান। কিছু নেতার জন্য গোটা দলকে বদনামের ভাগীদার হচ্ছে।
তবে তৃণমূলকে(tmc) চোর বলা যাবে না। তাহলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করছেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ সৌগত রায়। এবার সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পাল্টা তোপ দাগলেন সিপিআইএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।
সুজনবাবু (Sujan) বলেন, দুর্নীতি যত বাড়ছে, সৌগতবাবুর কথায় দুর্গন্ধ তত বাড়ছে৷ দুষ্কৃতি তত বাড়ছে৷ জুতো পেটা করবে! অসভ্যতার সীমা থাকা উচিত। উনি খুব চটেছেন৷ চোর বলা হচ্ছে কেন? উনি তো নিজেই বলছেন ৯৫ শতাংশ সৎ।
বাকি ৫ ভাগ? বাকি ৫ ভাগ? মানে তৃণমূলের ৫০ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা। ৫ শতাংশ মানে আড়াই হাজার৷ এই ৫ শতাংশ অর্থাৎ ২৫০০ জনের তালিকা দিয়ে দিন। হিম্মত আছে? পারবেন না। আবার চোর বললে রেগে যাবেন৷ চোরের প্রতিশব্দ কী হয়? সৌগতবাবু একটা প্রতিশব্দ ঠিক করে দিন৷ চোর বলা হবে না! পাচারকারী, দুষ্কৃতি, লুম্পেন ঠিক করে দিন৷
এর আগে ফিরহাদ হাকিমও কিছু গোল করার চেষ্টা করেছেন।ফিরহাদ হাকিম (firhad hakim) বলেন, ”পার্থ যা করেছেন, তার জন্য আমরা অত্যন্ত লজ্জিত। আমি এই পার্থকে চিনতাম না। তবে তার মানে এই নয় যে তৃণমূলের (tmc) সবাই চোর। তৃণমূল করা মানেই চোর নয়। দল এরকম কাজকে সমর্থন করে না। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”