গুয়াহাটি: অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (AASU) সোমবার অভিযোগ করেছে যে আসামের ধুবরি জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একটি বড় অংশ এখনও উন্মুক্ত পড়ে আছে।
AASU-র সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর জ্যোতি বড়ুয়ার নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতাদের একটি দল রবিবার জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে গিয়ে “উন্মুক্ত” সীমানা নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বড়ুয়া বলেন- রাজ্যের “গোলকগঞ্জের কাছে বিন্নাছড়া এলাকায় গঙ্গাধর নদীর ধারে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত সম্পূর্ণ উন্মুক্ত দেখে আমরা হতবাক,” । তিনি কেন্দ্র এবং আসাম সরকার উভয়কেই অসমিয়া জনগণকে “সীমান্ত সিল করার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি” দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
AASU-র সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর জ্যোতি বড়ুয়ার অভিযোগের সুরে বলেন- ১৯৮৫ সালের ঐতিহাসিক আসাম চুক্তি তার ৩৭ তম বার্ষিকী পূর্ণ করেছে। এখনও ভারত-বাংলা সীমান্ত সম্পূর্ণ সিল করার একটি প্রধান ধারা অপূর্ণ রয়ে গেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ভারত-বাংলা সীমান্ত রক্ষায় সরকারের কোনও আগ্রহ নেই। প্রকৃতপক্ষে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের তুলনায় আসামে বেড়ার গুণগত খারাপ।
AASU-র ছাত্ৰ নেতা বলেন- সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং অবৈধ অভিবাসন রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তা “মিথ্যা”।
AASU র মতে সরকারকে উন্মুক্ত সীমান্ত সিল করার জন্য আরও ভাল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত।
ছাত্ৰ সংগঠন AASU এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের দল পিলার ১০০১ এবং ১০৩১ এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমানা পরিদর্শন করেছে।