ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের ৩৫ জেলার ২০৯ উপজেলায় প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বীজ ও আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে গত ৪ মে অনেকটা দুর্বল হয়ে খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ফণী।
পরে এটি লঘুচাপে পরিণত হয়। ফণীর আঘাতে দেশের কয়েক জেলায় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন ফসলেরও।
কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট ও পান ইত্যাদি। এই ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্য ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা। এতে ১৩ হাজার ৬৩১ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এদিন তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির মধ্যে বোরো ধান ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর, সবজি ৩ হাজার ৬৬০ হেক্টর, ভুট্টা ৬৭৭ হেক্টর, পাট ২ হাজার ৩৮২ হেক্টর, পান ৭৩৫ হেক্টর রয়েছে। তবে এতে বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না।
ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ হাজার ৬৩১ জন কৃষকের মধ্যে আর্থিক সাহায্য হিসেবে সরকার ৩৮ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা প্রদান করবে।
এছাড়াও, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বীজ, সার ও আর্থিক সহায়তা করা হবে। ২০১৯-২০ সালে মৌসুমে রোপণ করা আমন ধানের বীজ, চারা উৎপাদন, বিতরণ ও মাসকালাই বীজ বিতরণ, রবি মৌসুমে বিনামূল্যে বোরো ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, মুগ চাষের জন্য বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।
এছাড়া শীতকালীন সবজি চাষের জন্য পারিবারিক পুষ্টির অংশ হিসেবে বিনামূল্যে বিভিন্ন সবজি বীজ বিতরণ করা হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষি সম্প্রসারণ দফতর কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ও আঘাত হানার পর তিন পর্যায়ের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।