কলকাতাঃ শরীরের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় মাদক নিয়ে পাচার করার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু কিছুদিন আগে এমনই একটি ঘটনা প্ৰকাশ্যে এসেছে, যা দেখে হতবাক খোদ চিকিৎসকরাও।
দিন পাঁচেক আগে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরে এমনই একটি কেস ধরা পড়েছে। বিদেশিনি এক মহিলার যোনির মধ্যে অতিদুর্মূল্য মাদক দ্ৰব্য ধরা পড়েছে।
বিমানবন্দরে ওই বিদেশিনির গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB)। তারপর তাঁকে জেরা করা হলে এনসিবি-র সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। জানা যায়, তাইওয়ান থেকে কলকাতায় এসেছেন ওই মহিলা। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে মহিলার যোনির মধ্যে বাইরের কোনও জিনিস রয়েছে। দফায় দফায় জেরা করেও একটি শব্দ বের করা যায়নি তাঁর মুখ থেকে। তবে ওই মহিলার মধ্যে যে কিছু একটা রয়েছে তাতে নিশ্চিত ছিলেন চিকিৎসকরা।
শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার হয়। নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো এবং রাজ্য পুলিশের কর্মীরা অপারেশন থিয়েটারের বাইরে পাহারায়। অপারেশন টেবিলে তাইওয়ানের (Taiwan) মহিলা।
জানা গেছে, যোনির ভেতরে রীতিমতো অস্ত্ৰোপচার করে পকেট তৈরি করা হয়। সেই পকেটে যত্ন সহকারে রাখা ছিল দুর্মূল্য নেশা জাতীয় মাদক দ্ৰব্য। অন্তত তিনটি পাউচ বের করা হয়। যার বাজার দর প্রায় কোটি টাকা। একটি করে পাউচ বের হয়েছে, আর চিকিৎসকের সামনে এনসিবি এবং রাজ্য পুলিশ সেগুলি হেফাজতে নিয়েছে!
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের অভিমত, এক বিরল ঘটনা। অপারেশন টেবিলে নিয়ে ছোট অস্ত্রোপচার করে মাদক বের করা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন- জোর করে মাদক বের করতে গেলে মহিলার শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। এমনকী প্রাণসংশয়ও হতে পারে। তবে যোনির মুখ ছোট তাই বেশি মাদক রাখা সম্ভব নয়।
অন্য আরেকজন চিকিৎসকের কথায়- নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাইওয়ানের মহিলার শরীর থেকে মাদক পাউচ বের করতেই হত। অন্যথায় পাউচ ফেটে যেত।
আরেকটি কেসে গালের ভেতরে অস্ত্ৰোপচার করে পকেট তৈরি করে হীরে বা বহুমূল্য রত্ন পাচারের ঘটনাও সরকারি চিকিৎসকদের নজরে এসেছে।