আগরতলা: ২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক দল বিজেপি। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এদিনের এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা, ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া কনভেনর তথা পশ্চিমবঙ্গের সহ-প্রভারী অমিত মালভিয়া, ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায়, ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির আই টি সেলের কনভেনার চন্দন দেবনাথ প্রমুখ।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন মানুষের হাতে হাতে যে ছোট মোবাইল ফোনটি রয়েছে তার অনেক ক্ষমতা আছে। কিন্তু অনেকে ভাবে এর আবার কি গুরুত্ব রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে অনেক কিছুই করা সম্ভব। বিরোধী দলগুলি বিভিন্ন সময় নেগেটিভ প্রচার করে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করে। তবে তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে বি জে পি।
বিজেপির কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তার প্রতিহত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কার্যকর্তাদের প্রতি আহ্বান রাখেন তারা যেন নেগেটিভ প্রচার না করে।
এ বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্তের কড়া নির্দেশ রয়েছে বলে জানান তিনি। বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার নির্দেশ দেন। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার আহবান রাখেন।
তিনি আরো বলেন রাজ্যে বাম কংগ্রেস এবং তৃণমূল একজোট হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে বিজেপিকে হারানোর জন্য। রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধীরা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা ব্রিটিশদের মতো বিভাজনের রাজনীতি করতো।
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এদিনের এই কর্মশালায় রাজ্যের আটটি জেলা থেকে বিজেপির আইটি সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকর্তার উপস্থিত হয়ে ছিলেন। তাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আই টি সেল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেওয়া হয়।