ঢাকা: বাংলাদেশে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বৈদেশিক শ্রমবাজার। জনশক্তি রপ্তানিতে বইছে সুবাতাস। দীর্ঘ দিন থেকে যেসব দেশ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিত না, তারাও শ্রমিক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
মালয়েশিয়ায়, সৌদি আরব, কাতার ও সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপাচ্যের দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে রেকর্ড পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে।
একই সময়ের আগের বছরের তুলনায় ১৩৫ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি শ্রমিক বাংলাদেশের বাইরে গেছেন। পুরুষের সাথে নারী শ্রমিকের বিদেশযাত্রাও রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। শ্রমশক্তি রপ্তানির সুযোগ বাড়ায় রেমিট্যান্স আয় আরো বাড়ারও প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে এই শ্রমবাজার ধরে রাখতে বেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিকল্প নেই। তাই দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সরকারকে আরো উদ্যোগী হতে হবে মনে করেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে অতিমারী করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। অতিমারীর আগের বছর ২০১৯ সালে ৭ লাখ ১৫৯ কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন। করোনার ধাক্কায় ২০২০ সালে তা ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জনে নেমে আসে।
তবে ২০২১ সালে ধীরে ধীরে তা আবার আলোর মুখ দেখতে শুরু করে, যা বছরজুড়েই গতিতে ছিল। মহামারির আগের সময়ের গতিতে ফিরেছে।
বিএমইটির রেকর্ড অনুযায়ী, ১৯৭৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৩০ লাখ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজে গেছেন। ২০২২ সালে শ্রমিক রপ্তানির সব রেকর্ডই ছাড়িয়ে যাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।