গুয়াহাটিঃ প্ৰযুক্তিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল অসম। অসমে এই প্ৰথম চালু হল উত্তরপূর্ব ভারতের প্ৰথম ড্ৰোন স্কুল। স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে প্ৰযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও এগিয়ে যেতে চাইছে দেশ। ভারতকে ড্রোন প্রযুক্তির কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের অংশ গুয়াহাটিতে প্রথম দূরবর্তী পাইলট প্রশিক্ষণ স্কুল স্থাপন করা হয়েছে।
আসাম ইলেক্ট্রনিক্স ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (AMTRON) প্রকল্পের জন্য IIT-গুহাটিতে ইনকিউবেটেড একটি স্টার্ট-আপ EduRade এবং IIM-কলকাতা ইনোভেশন পার্কের সাথে হাত মিলিয়েছে।
মঙ্গলবার অসমের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কেশব মহন্ত ড্রোন স্কুলের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “তরুণরা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের যেকোনও জায়গায় এবং যেকোনও সেক্টরে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।
পাইলট লাইসেন্স প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্কুলে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)এর প্ৰশিক্ষণপ্ৰাপ্ত প্রশিক্ষকরা থাকবেন। জালুকবাড়ির আসাম ফরেস্ট স্কুলে এর মাঠ সমেত টেক সিটি এলাকায় ড্ৰোন ট্ৰেনিং স্কুল স্থাপন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে গুয়াহাটির এই স্কুলে ‘পাইলট লাইসেন্স ট্রেনিং প্রোগ্রামের’ (Pilot Licence Training Program) জন্য প্রশিক্ষণ দেবেন বিশেষ ভাবে যাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে তারাই। উল্লেখ্য, ভারতের প্রথম DGCA অনুমোদিত ‘ড্রোন ট্রেনিং স্কুল’ চালু হয় হরিয়ানাতে। গত বছর ওই স্কুল চালু করা হয়।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন- এই কাজের জন্য এএমটিআরওএন দু ধরনের ড্ৰোন নিয়েছে। তার ২ কেজির কম ওজনের দুটি কাইক্ৰো ক্যাটাগোরি এবং ২ থেকে ২৫ কেজি ওজনের দুটি স্মল ক্যাটাগোরির ড্ৰোন নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ‘লুক ইস্ট’ নীতিরই অন্যতম অঙ্গ হিসাবে এই এলাকায় ড্রোনকে কাজে লাগিয়ে উন্নতি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।