জন্ডিস হলে রোগীর নখ, চোখ হলুদ ভাব হয়ে যায়। অনেকে এখনো জণ্ডিস হলে ঝাড়ফুঁক করান, গলায় মালা নেন। আসল বিষয়টা জানা জরুরি। জণ্ডিস কোন রোগ নয়, রোগের লক্ষণ মাত্র। এই শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ jaunisse থেকে। যার অর্থ হলুদাভ অর্থাৎ হলুদ একটা রং।
জন্ডিসে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। সাধারণ ভাবে রক্তে বিলিরুবিনের ঘনত্ব থাকে ১.২ mg/dl। সেই পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ৩ mg/dl হলে জন্ডিস হয়েছে বলে ধরা হয়। এতে ত্বক, চোখের সাদা অংশ, অন্যান্য মিউকাস ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায়।
বিলিরুবিন সবার শরীরেই থাকে। তবে খাদ্য হজম প্রক্রিয়া চলার সময় বিলিরুবিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে বিলিরুবিন রক্তে বাড়তে শুরু করলে সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই অবস্থার নাম হচ্ছে জন্ডিস। ত্বক হলুদ হয়ে যায়। হেপাটাইটিস (Hepatitis) ভাইরাসের জন্যে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।
সবারই একসময় না একসময় জণ্ডিস হয়।
জণ্ডিস হলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। খাদ্য হজমে সমস্যা হয়। অবহেলা করা মোটেও উচিৎ নয়।
জল পান করতে হবে- এই সময়ে লিভারের খেয়াল রাখতে হবে, বেশি মাত্রায় জলপান করতে হবে।
কফি এবং গ্রিন টি কাজে আসে।
ধনে- ধনে সবার ঘরেই থাকে। গোটা ধনে খুব কাজে আসে। রাতে গ্লাসে অল্প গোটা ধনে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই জল পান করতে পারেন।
আখের রস তো খেতেই হবে। তবে সুগার রোগীরা বাদে। এই রস সমস্যা কমাতে পারে। খেতে পারেন লেবু, কমলালেবুর রসও।
ত্রিফলা চূর্ণ– এটি যে কত উপকারি তা আমরা সকলেই জানি। সারা রাতা এক চামচ ত্রিফলা চূর্ণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই জলপান খেয়ে ফেলুন।
আবার জণ্ডিস সেরে গেলেও সাবধানে থাকুন।
অ্যালকোহল অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।বরাবর এড়িয়ে চলতে পারলে আরো ভালো।
অল্প করে খান। তবে বারে বারে খান।
প্রতিদিন ৪ লিটার জল খেতে হবে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লেবু রাখুন।
বিদ্র : লেখাটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।