ভারতের স্বাধীনতা দিবস চলেই এল।সাজ সাজ রব গোটা দেশে। প্রত্যেক দেশবাসী ঘরে ঘরে পতাকা লাগাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিতে তেরঙ্গার ছবি। স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তীতে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদ্যাপন করছে ভারত সরকার। আর এই বিশেষ উদ্যাপনে ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলিকে সুন্দরভাবে তেরঙ্গা আলোয় সজ্জিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাজমহলের ক্ষেত্রে এই নিয়ম চলবে না। সুপ্রিম কোর্টের এক বিশেষ নির্দেশিকার জন্যেই রাতে তাজমহলে কোনও আলোকসজ্জা করা যাবে না।
কিন্তু কেন? এই প্রশ্ন তো আসছেই।
তাজমহল ছিল ভারতের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ যা একটি উদ্যাপনের জন্য রাতে আলোকিত করা হয়েছিল। আগ্রার ট্যুরিস্ট ওয়েলফেয়ার চেম্বারের সম্পাদক বিশাল শর্মা বলেছেন, প্রায় ৭৭ বছর আগে যখন মিত্র শক্তির সামরিক বাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভ করেছিল, তখন তাজমহল সেজে উঠেছিল অনেক রকম আলোর রোশনাইতে। আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছিল। স্মৃতিস্তম্ভের ভিতরেও আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ অনুষ্ঠানের। বিশাল ব্যাপার।
সামাজিক কর্মী বিজয় উপাধ্যায়ের মতে, বিখ্যাত পিয়ানোবাদক ইয়ানির একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন তাজমহলকে শেষ বার রাতে আলোকিত করা হয়েছিল ২০ মার্চ ১৯৯৭ সালে। আর এর পরের দিনই সকালে দেখা যায় যে, তাজমহল মৃত পোকামাকড়ে একবারে ভরে গিয়েছে।মরে পড়ে আছে সব।
যার পর ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের রাসায়নিক শাখা সুপারিশ করে, তাজমহলে রাতে আলো না জ্বালানোই ভালো। আলো জ্বালালেই ক্ষতি। এই পোকামাকড়গুলো স্মৃতিস্তম্ভের মার্বেলের ভীষণভাবে ক্ষতি করে। ফলে তাজমহলে আলো জ্বালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আর উঠানো করা হয়নি।