ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের নাগরিকদের ‘হর ঘর তেরঙা’ অভিযানের শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার অভিযানটি শুরু করেছে।
গোটা দেশবাসীর কাছে মোদি আবেদন জানিয়েছেন, সকলেই যেন এই ‘হর ঘর তেরঙা’ অভিযানে অংশ নেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি লাগানোর অনুরোধ জানান মোদী।
ভারতের স্বাধীনতা দিবস! বলতেই আলাদা একটা অনুভূতি। শরীরে শিহরণ দেয়। ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস৷ অত্যন্ত ধুমধামের সাথে স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন হয় ভারত জুড়ে৷ অনুষ্ঠান তো হয়ই বড় পতাকা লাগিয়ে সেই সাথে ছোটদের হাতেও থাকে ছোট ছোট তেরঙ্গা পতাকা। এবার তো আরো ধুমধাম আয়োজন। ঘরে ঘরে, দোকান পাট, গাড়ি ঘোড়া সব জায়গায় তেরঙ্গা লাগানো হচ্ছে। বাজার ভরে গেছে তেরঙ্গায়।
এই মহান দিনে সেই সব মহান দেশনেতাদের স্মরণ করা হয় যাঁদের রক্ত, দিনরাতের পরিশ্রম, নিষ্ঠা, ঘামের বিনিময়ে ব্রিটিশের শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে দেশ৷ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের চরম আত্মবলিদানকে স্মরণ করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়৷
১৬১৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের পশ্চিম উপকূলে গুজরাটের সুরাট বন্দরে আসে ব্রিটিশরা৷ এরপর অচিরেই বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ডে বদলে গেলে প্রায় ১০০ বছর ভারত শাসন করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি৷ এই শাসন আপামর ভারতীয়কে বিদ্রোহী করে তোলে৷
নিষ্পেষিত মানুষ উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। দেয়ালে পিঠ ঠেকলে মানুষ আর পিছিয়ে যায় না, তখন এগোয়। মহা হুঙ্কার দিয়ে এগিয়ে যায়।
ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্তি পেতে দেশজুড়ে শুরু হয় স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন৷ দেশের স্বাধীনতার জন্য দিনের পর দিন চলেছে সংগ্রাম৷ ঘামে রক্তে আন্দোলন। নেতৃত্ব দিয়েছেন নেতাজি, মহাত্মা গান্ধী, ভগৎ সিং, আবদুল কালাম আজাদ, বাঘা যতিন-সহ আরও অনেকে৷
ইংরেজ ভারত ছাড়ো এই স্লোগানকে সামনে রেখে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী৷ কোনোভাবেই আর শোষণ সহ্য করা যাবে না। নেতাজি সুভাষ বসু নায়ক। তাঁর নাম শুনলেই কাঁপত ইংরেজ।
১৫ আগস্ট দিনটিতে ভারতে বিদ্যালয়গুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। বাচ্চারা প্রত্যেকে একটা করে লজেন্স পায়। খেলাধুলা হয়, প্রতিযোগিতা হয়, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে অনেক কিছু।
আমাদের দেশ ভারত এখন গোটা বিশ্বে একটা সম্মানীয় জায়গায়। শিক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, আরো অনেক ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে বিশ্বের ইতিহাসে স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছে ভারত৷ তবে আরো এগিয়ে যেতে হবে।