কারি পাতার ব্যবহার রয়েছে বাঙালিদের মধ্যে। কারি পাতা বা নরসিংহ পাতা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না এর অনেক স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে। মিষ্টি নিম নামে খ্যাত এটি।এই পাতা হজমশক্তি বাড়ায়, আর পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কারি পাতার ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। উত্তর ভারতের তুলনায় দক্ষিণ ভারতে এই পাতার ব্যবহার বেশি হয়। তরকারি, ডাল, ভাজা, নোনতা সুজি, চিঁড়ের পোলাও ইত্যাদি নানা খাবারে কারি পাতার ব্যবহার রয়েছে। কারিপাতায় আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, আয়রন, কপার।
কারিপাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষের নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করে শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে কারি পাতা।প্রায় বাড়াতেই থাকে এই কারি পাতার গাছ। ফলে ভালো না লাগলেও মাঝেমধ্যে খেতে হবে এর উপকারিতার জন্যে।
আরো যেমন, কারিপাতায় রয়েছে উপকারী অ্যালকালয়েড। যে কোনও আঘাত সহজে নির্মূল করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁরা কারি পাতা খেতে পারেন। কারিপাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে খুব উপকারী এটি।
কারিপাতা বা কারি পাতার রসে থাকা আয়রন, জিঙ্ক, কপার থাকায় ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এটি।ফলে খাওয়া যায়।
কারিপাতা খেলে সতেজ থাকে মস্তিষ্ক।মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে কারিপাতার জুড়ি মেলা ভার।
অ্যাসিডিটির সমস্যা আজকাল ঘরে ঘরে।নিয়মিত কারিপাতা খেলে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ হয়।
এমনকি চুল ভালো করতে পর্যন্ত সাহায্য করে কারি পাতা। এতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং ভিটামিন এ ও সি চুলের গোড়া শক্ত করে। এবং ত্বক ভালো রাখতেও কারি পাতা উপকারি। প্রাকৃতিকভাবে নিজেকে যতটা ভালো রাখা যায় ততই ভালো।