আমফানের পর কেটে গেছে এতগুলো দিন। বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ কিছুটা তালে ফিরে এসেছে। কিন্তু কোন দিকে তালে ফিরেছে বলতে পারেন?
ত্রাণ, সরকারি সাহায্য সাহায্য কয়জন বিপদগ্রস্ত মানুষের হাতে সত্য সত্যই পৌঁছেছে? চারদিক থেকে অভিযোগের বন্যা বয়ে চলেছে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে।
নিরুপায়, বিপর্যস্ত মানুষগুলো যম করোনাকে পেছনে ঠেলে রেখে তাই বাধ্য হয়েছে প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাট, জ্যাংরা হাতিয়ারা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা গায়েনের বাড়ির সামনে লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ জনতা!
তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযগ আসছে, বেছে বেছে সরকারি সাহায্য দেয়া হচ্ছে সে অঞ্চলে। এমনকি যাঁদের দোতলা বাড়ি-গাড়ি রয়েছে তাঁদের হাতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ত্রাণ! অভিযোগ, রাজ্য সরকার থেকে যে সাহায্য এসেছে, তাঁর একটিও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো পাননি। একটা ত্রিপল পর্যন্ত দেয়া হয়নি তাঁদের।
গ্রামে অসুস্থ প্রৌড়া মানুষ রয়েছেন। চাল ফুটো, ঘর ভাঙা, জ্বরে কাতরাচ্ছেন এক বৃদ্ধা!
এতো গেল ত্রাণ কারচুপির বিষয়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়েও শত কেলেংকারি হচ্ছে বাংলায়। এই দুর্নীতির অভিযোগে বাঁকুড়ার রানিবাধে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। বলা হচ্ছে, একজনের নামেই বারবার আবাস যোজনা দেয়া হচ্ছে। যার মাথার ওপর চাল্টুকু নেই, তাঁরা সেই নেই অবস্থাতেই থাকছেন।
এ অবস্থায় জনতার ক্ষোভ বেড়ে উঠছে।