সমগ্র বাংলাদেশকে করোনার প্রাদুর্ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের দুই মন্ত্রীর ব্যর্থতাতেই দেশে করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে!
কোন সঠিক এবং সুস্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রীর ভয়ানক এই রূপে শংকিত হয়ে পড়েছে দেশবাসী।
করোনার গর্ভগৃহ উহানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর যথেষ্ট সময় হাতে পেয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু সেই সময়কে কাজে লাগাতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ঠিক একইভাবে ব্যর্থ দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর তিনি গার্মেন্ট মালিকদের নিয়ে বৈঠক করলেও সঠিক কোনো গাইডলাইন বা নির্দেশনা দিতে পারেন নি।
তাঁদের ব্যর্থতা সাথে মারাত্মক ধর্মান্ধতা দেশবাসীর জীবন বিপন্ন করে তুলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে মন্ত্রী মালেকের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিক্রিয়া।
কেউ কেউ এমনও মন্তব্য করছেন ক্ষেপে গিয়ে ডাঃ দিপুমণিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আসনে আপাতত অধিষ্ঠিত করলেও তিনি সুচারুভাবে চালনা করতে পারতেন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামি দিনগুলো কঠিন হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। এই কঠিন পরিস্থিতি সামালানোর জন্যে এখনই জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য খাতের সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক ও বিএমএ নেতাসহ যারা কাজ করেছেন এবং এখনো করছেন তাদের নিয়ে ১৫ থেকে ২১ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘অ্যাকশন কমিটি’ গঠন করতে হবে। এতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা কিছুটা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে দীর্ঘকাল ধরে চলছে এমন জরাজীর্ণ দশা।
ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে সামাজিক দূরত্ব, কোয়ারেন্টাইন কোনকিছুই কার্যকর হচ্ছে না। এদিকে দেশে করোনার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক সংক্রমণ প্রায় শুরু হয়ে গেছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতহারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘শুধু স্বাস্থ্য খাত নয়, অন্য যে কোনো খাতে যখন ক্রাইসিস দেখা দেবে, দেখা যাবে সেখানেই অদক্ষতা আছে। যেখানে যে যোগ্যতার লোক বসার কথা ছিল, সেখানে দেখা গেছে এর চেয়ে কম যোগ্য, অযোগ্য, কম মেধাবী লোক উচ্চ আসনে বসে আছেন। এসব লোক দিয়ে দ্রুত ক্রাইসিস সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। মন্ত্রী-সচিবরা যে বলেন, আমরা পূর্বপ্রস্তুতি নিয়েছি, এগুলো আবেগীয় কথাবার্তা। বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই।’