এ এক বর্ণ,গন্ধহীন বাংলা নববর্ষ। মারী আর মড়কের দুঃসহ আঘাতে রং চটে বসন্ত আজ ফ্যাকাশে। তবুও তো নববর্ষ, বৈশাখের আগমণ। গাছে গাছে মুকুল।
রাজ্যবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। নববর্ষ প্রত্যেকের জীবনে বয়ে আনুক আনন্দ; ভালোবাসা।
Heartiest greetings to all on this beautiful festival of Baisakhi!
May this occasion brings happiness and prosperity to all.#Baisakhi pic.twitter.com/2qYBjiRzNz
— Biplab Kumar Deb (@BjpBiplab) April 13, 2020
বাংলা ১৪২৬ সনের শেষ দিন আজ। এ দিনটিকে চৈত্র সংক্রান্তি বলা হয়। প্রতি বছর ঘটা করে দিনটা উদযাপনও করা হয়। আগামী কাল ১৪২৭ সনের প্রথম দিন বাংলা নববর্ষ। প্রতি বছর জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে কাল এ আহ্বান জানাবে গোটা বাঙালি জাতি। কিন্তু এবারের পেক্ষাপট একেবারে ভিন্ন। মনে কষ্ট হলেও বারংবার বলতে হয় করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতার কথা।
করোনাভাইরাস মহামারি আকার নেয়ায় এবছর চৈত্র সংক্রান্তি কিংবা নববর্ষ উদযাপন হচ্ছে না।
এ মুহূর্তে সবচাইতে আগে জীবনের সতর্কতা নিতে হবে। যুদ্ধটা আমাদের প্রত্যেকের ঘরে বসে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সে আহ্বান দেশবাসির উদ্দেশে জানিয়ে চলেছেন।
লড়াই করে বাঙালির জীবনে ফের ফিরে আসবে নতুন সকাল, প্রাণময় জীবন। সে আশায় আজো চলছে পৃথিবী।
এদিকে বাংলাদেশেও বাতিল করা ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের অনুষ্ঠান।
১৯৬১ সালে যাত্রা শুরু করা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের ভোরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আসছে। এর আগে মাত্র একবার মুক্তিযুদ্ধকালে অনুষ্ঠানটি হয়নি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে।
বাংলা বর্ষবরণের আরেক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানকে জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনেসকো অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ অনুষ্ঠানও এবার বাতিল করা হয়েছে। তবে রীতি অনুসারে প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলা বর্ষবরণের পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। এটি ভার্চুয়ালি প্রকাশিত হয়েছে।